ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনার এর সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুক্তরাজ্যের নর্থ-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফখরুল হোসাইনের সাথে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকের আত্মপ্রকাশ, সভাপতি ফখরুল হোসাইন সম্পাদক নুরুল আমিন ৪০ কেজি ওজনের হলি রামাদ্বান ফ্যামেলি ফুড প্যাক বিতরণ করল আননিয়ামাহ উইমেন্স এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ en ıyı bahis siteleri’deki En Büyük Yalan

রমজান মাসেও থেমে নেই জুয়াড়ি জনির জুয়ার বোর্ড

রমজান মাসেও সিলেট নগরীর খুলিয়াপাড়া এলাকায় কিছুতেই থামছে না ভারতীয় শিলং তীর, জান্ডুমান্ডু ও আইপিএল নামক জুয়া খেলা। দিনে টোকনের মাধ্যমে তীর খেলা আর রাতে বসে ঝান্ডু-মান্ডু জুয়ার আসর ও আইপিএল জুয়া। এই জুয়ার বোর্ড বসিয়ে দিনমজুর থেকে অনেকে হয়ে উঠেছেন কোটিপতি। আর যারা এই জুয়া খেলতে আসে তারা হারাচ্ছে সর্বত্র। অনেকেই সব কিছু হারিয়ে পথে বসতে হয়েছে।থানা পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে দু’একজনকে আটক করলে,আদালতের মাধ্যমে তারা জামিনে বের হয়ে আবার এ খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠে।এমন কর্মকান্ড দেখে স্থানীয়রা বাকরুদ্ধ। জানা গেছে,খুলিয়াপাড়া মসজিদ সংলগ্ন গলির পাশেই এই জুয়ার আস্তানা।জুয়া খেলতে সারি বেঁধে আসছেন নানা শ্রেণি পেশার লোকজন।একই জায়গার চিত্র পালটে যায় সন্ধ্যার পর। সন্ধ্যার পর বসে ঝান্ডু-মান্ডু জুয়া আসর ও আইপিএল এর জুয়া। দল বেধেঁ জুয়াড়িরা ঝান্ডু মান্ডু খেলেন।এই জুয়ার বোর্ডের নেতৃত্ব দেন নগরীর পশ্চিম শেখঘাট এলাকার সিকন্দর মিয়ার ছেলে জনি মিয়া ওরফে জুয়াড়ি জনি।মাত্র কয়েক বছর আগে তিনক বেকার থাকলেও কিন্তু জুয়ার বোর্ডের অদৃশ্য টাকায় এখন তিনি কোটিপতি।রয়েছে বেশ টাকা কড়ি।আর বেশ ভুষায় লক্ষনীয়ভাবে পরিবর্তন ।

শ্রমজীবি মানুষরা লোভে পরে এই জুয়াখেলে।আর তারা এরকম ধান্দাবাজী করে গরীবের ধন হাতিয়ে নিয়ে বিলাশ বহুল জীবন যাপন করছে জুয়াড়ি জনি। অনুসন্ধানে জানা যায়,করোনাভাইরাসের লকডাউনে মানুষ গৃহবন্দি। চলাচল ও কাজকর্ম নেই। এ সুযোগে সিলেটের চিহ্নিত জুয়াড়িরা জমজমাট জুয়ার আসর বসিয়ে এ এলাকায় ব্যাপক লোকসমাগম ঘটাচ্ছে।ফলে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,রমজান মাসে জুয়ার আসরে আসা বহিরাগতদের কারণে তাঁরা করোনা ঝুঁকির আতঙ্কে রয়েছেন।কিছু অসৎ পুলিশ এসব জুয়ার বোড মালিকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে সুবিধা নেয়াই এই শিলং নামে জুয়া খেলা কিছুতেই থামছে না।যার ফলে প্রশাসনের উর্দতন কতৃপক্ষের নেতৃত্বে মাঝে মধ্যে তীর খেলা বন্ধে অভিযান চললেও কোনো সুফল মিলছে না। সাম্প্রতিক সময়ে খুলিয়াপাড়া এলাকায় জুয়া খেলার উৎপাত দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ এলাকায় প্রকাশ্যেই শিলং তীর খেলার টোকেন বিক্রি হওয়ায় নারী-পুরুষ দল বেঁধে এই তীর নামক জুয়া খেলায় লাভের আসায় প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে। লাভতো দূরের কথা প্রতিনিয়ত এসব খেলে অনেকেই নি:স্ব হচ্ছে। আর ভারতীয় এ ভাগ্যেখেলায় স্কুল-কলেজের ছাত্র, দিনমজুর, রিকশাচালক, যানবাহন চালক-শ্রমিকসহ বেকার যুবকরা বেশি অংশ নিচ্ছে।

প্রতিদিন বিকাল ৪টায় ও ৫টায় ও রাত সাড়ে ১০টায় এ লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। খেলার ফলাফল দেওয়া হয় অনলাইনে। ভারতের শিলং থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জুয়ার আসরটি পরিচালনা করা হয়। আর এ ওয়েব সাইটের মাধ্যমে এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনেও ফলাফল জানা যাচ্ছে। আর এসব জুয়ার নেতৃত্বে জনির সাথে রয়েছে এলাকার প্রভাবশালী কিছু লোকজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান,তাদের অনেক ক্ষমতা।তারা এনড্রয়েড ফোন সেটের মাধ্যমে নম্বর বইয়ের মালিকরা দেখান ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে নম্বর টোকেন বিক্রি করেন। এই খেলাটি চিরস্থায়ীভাবে বন্ধ করতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জুয়াড়ি জনি বলেন,সব ব্যাপারে সাংবাদিকদের নাক গলানোর কি আছে?আপনি কোনো কিছু বলতে হলে পুলিশকে বলেন।পুলিশ সূত্রমতে, গত কয়েক মাসে সিলেটে অন্তত শতাধিক জুয়ার আসর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।আর এই অভিযানে সবচেয়ে বেশি প্রশংসার দাবিদার মহানগর পুলিশ। কিন্তু জুয়ার আসর বন্ধ করা হলেও ফাঁড়ি ও কিছু অসাধু পুলিশের মাঠপর্যায়ের সদস্যদের কারণে এসকল জুয়া খেলা ফের ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে পুরো সিলেটের আনাচে-কানাচে। এই জুয়ার ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের(এডিসি মিডিয়া) বলেন,সিলেট নগরীতে কোন জুয়ার আস্তানা থাকবে না।প্রত্যেক জুয়াড়িকে আইনের আওতায় আনা হবে সে যতোই শক্তিশালী হোক না কেন ।

ট্যাগস

স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়।

রমজান মাসেও থেমে নেই জুয়াড়ি জনির জুয়ার বোর্ড

আপডেট সময় ০৩:১০:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১

রমজান মাসেও সিলেট নগরীর খুলিয়াপাড়া এলাকায় কিছুতেই থামছে না ভারতীয় শিলং তীর, জান্ডুমান্ডু ও আইপিএল নামক জুয়া খেলা। দিনে টোকনের মাধ্যমে তীর খেলা আর রাতে বসে ঝান্ডু-মান্ডু জুয়ার আসর ও আইপিএল জুয়া। এই জুয়ার বোর্ড বসিয়ে দিনমজুর থেকে অনেকে হয়ে উঠেছেন কোটিপতি। আর যারা এই জুয়া খেলতে আসে তারা হারাচ্ছে সর্বত্র। অনেকেই সব কিছু হারিয়ে পথে বসতে হয়েছে।থানা পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে দু’একজনকে আটক করলে,আদালতের মাধ্যমে তারা জামিনে বের হয়ে আবার এ খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠে।এমন কর্মকান্ড দেখে স্থানীয়রা বাকরুদ্ধ। জানা গেছে,খুলিয়াপাড়া মসজিদ সংলগ্ন গলির পাশেই এই জুয়ার আস্তানা।জুয়া খেলতে সারি বেঁধে আসছেন নানা শ্রেণি পেশার লোকজন।একই জায়গার চিত্র পালটে যায় সন্ধ্যার পর। সন্ধ্যার পর বসে ঝান্ডু-মান্ডু জুয়া আসর ও আইপিএল এর জুয়া। দল বেধেঁ জুয়াড়িরা ঝান্ডু মান্ডু খেলেন।এই জুয়ার বোর্ডের নেতৃত্ব দেন নগরীর পশ্চিম শেখঘাট এলাকার সিকন্দর মিয়ার ছেলে জনি মিয়া ওরফে জুয়াড়ি জনি।মাত্র কয়েক বছর আগে তিনক বেকার থাকলেও কিন্তু জুয়ার বোর্ডের অদৃশ্য টাকায় এখন তিনি কোটিপতি।রয়েছে বেশ টাকা কড়ি।আর বেশ ভুষায় লক্ষনীয়ভাবে পরিবর্তন ।

শ্রমজীবি মানুষরা লোভে পরে এই জুয়াখেলে।আর তারা এরকম ধান্দাবাজী করে গরীবের ধন হাতিয়ে নিয়ে বিলাশ বহুল জীবন যাপন করছে জুয়াড়ি জনি। অনুসন্ধানে জানা যায়,করোনাভাইরাসের লকডাউনে মানুষ গৃহবন্দি। চলাচল ও কাজকর্ম নেই। এ সুযোগে সিলেটের চিহ্নিত জুয়াড়িরা জমজমাট জুয়ার আসর বসিয়ে এ এলাকায় ব্যাপক লোকসমাগম ঘটাচ্ছে।ফলে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,রমজান মাসে জুয়ার আসরে আসা বহিরাগতদের কারণে তাঁরা করোনা ঝুঁকির আতঙ্কে রয়েছেন।কিছু অসৎ পুলিশ এসব জুয়ার বোড মালিকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে সুবিধা নেয়াই এই শিলং নামে জুয়া খেলা কিছুতেই থামছে না।যার ফলে প্রশাসনের উর্দতন কতৃপক্ষের নেতৃত্বে মাঝে মধ্যে তীর খেলা বন্ধে অভিযান চললেও কোনো সুফল মিলছে না। সাম্প্রতিক সময়ে খুলিয়াপাড়া এলাকায় জুয়া খেলার উৎপাত দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ এলাকায় প্রকাশ্যেই শিলং তীর খেলার টোকেন বিক্রি হওয়ায় নারী-পুরুষ দল বেঁধে এই তীর নামক জুয়া খেলায় লাভের আসায় প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে। লাভতো দূরের কথা প্রতিনিয়ত এসব খেলে অনেকেই নি:স্ব হচ্ছে। আর ভারতীয় এ ভাগ্যেখেলায় স্কুল-কলেজের ছাত্র, দিনমজুর, রিকশাচালক, যানবাহন চালক-শ্রমিকসহ বেকার যুবকরা বেশি অংশ নিচ্ছে।

প্রতিদিন বিকাল ৪টায় ও ৫টায় ও রাত সাড়ে ১০টায় এ লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। খেলার ফলাফল দেওয়া হয় অনলাইনে। ভারতের শিলং থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জুয়ার আসরটি পরিচালনা করা হয়। আর এ ওয়েব সাইটের মাধ্যমে এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনেও ফলাফল জানা যাচ্ছে। আর এসব জুয়ার নেতৃত্বে জনির সাথে রয়েছে এলাকার প্রভাবশালী কিছু লোকজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান,তাদের অনেক ক্ষমতা।তারা এনড্রয়েড ফোন সেটের মাধ্যমে নম্বর বইয়ের মালিকরা দেখান ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে নম্বর টোকেন বিক্রি করেন। এই খেলাটি চিরস্থায়ীভাবে বন্ধ করতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জুয়াড়ি জনি বলেন,সব ব্যাপারে সাংবাদিকদের নাক গলানোর কি আছে?আপনি কোনো কিছু বলতে হলে পুলিশকে বলেন।পুলিশ সূত্রমতে, গত কয়েক মাসে সিলেটে অন্তত শতাধিক জুয়ার আসর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।আর এই অভিযানে সবচেয়ে বেশি প্রশংসার দাবিদার মহানগর পুলিশ। কিন্তু জুয়ার আসর বন্ধ করা হলেও ফাঁড়ি ও কিছু অসাধু পুলিশের মাঠপর্যায়ের সদস্যদের কারণে এসকল জুয়া খেলা ফের ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে পুরো সিলেটের আনাচে-কানাচে। এই জুয়ার ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের(এডিসি মিডিয়া) বলেন,সিলেট নগরীতে কোন জুয়ার আস্তানা থাকবে না।প্রত্যেক জুয়াড়িকে আইনের আওতায় আনা হবে সে যতোই শক্তিশালী হোক না কেন ।