মোঃ আলমগীর ইসলাম গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতাঃ
গোবিন্দগঞ্জে ইভটিজিং-য়ে বাঁধা দেয়ায় স্কুলপড়ুয়া নবম শ্রেনীর ছাত্রীর পিতা সরফরাজ আলী(৬০)-কে মারপিট করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের বিলভর্তি গ্রামের দবিরের ছেলে আনোয়ার(৩৫) একই গ্রামের সরফরাজ আলীর নাবালিকা মেয়ে নবম শ্রেনী পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে পথে-ঘাটে আসা যাওয়ার পথে ইভটিজিং করে আসছিল। ইভটিজিং ও প্রেম প্রস্তাবের বিষয়টি মেয়েটির পরিবার জানতে পারলে ইভটিজিং এ বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তারা। পরবর্তীতে, বখাটে আনোয়ারকে ডেকে বকাবকি করে মেয়েটিকে বিরক্ত না করার জন্য নিষেধ করে মেয়েটির পরিবার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে আনোয়ার গত ১৭ জুলাই সকাল থেকে মেয়েটির ভাইকে মারার জন্য পথিমধ্যে রড নিয়ে ওৎপেতে থাকে। মেয়েটির ভাই ব্যাপারটি আগাম বুঝতে পেরে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বাড়ি থেকে বের না হলে, বখাটে আনোয়ার ঐ পরিবারের প্রতি আরও প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে ওঠে। গতকাল শনিবার বিকেলে মেয়েটির পিতা সরফরাজ আলী পাশ্ববর্তী দাড়িদহ বাজারে ঈদের কেনাকাটার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পর, সে আর বাড়ী ফেরেনি। এরপর অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া না গেলেও, আজ ১৮ ই জুলাই সকালে পথচারীরা প্বার্শবর্তী ছয় ঘরিয়া গ্রামের রাস্তা সংলগ্ন শাহ্ মোঃ হাম্মাদ আলী মিঠুর পরিত্যক্ত বাড়ীর সামনে তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। এরপর গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত)তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে এস,আই আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তাদের সাথে থাকা পুলিশ ফোর্স লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহতে’র পরিবারের অভিযোগ, ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ার জেরেই সরফরাজ আলীকে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বখাটে আনোয়ার গংরা মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘটনা আড়াল করতে লাশটি পার্শ্ববর্তী গ্রামে ফেলে যায়।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ,কে,এম মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের জানান, সরফরাজ আলী নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিক ভাবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী, আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।