বিশ্বনাথ সংবাদদাতাঃ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার এক ব্যবসায়ীকে প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়ায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে চারজনকে অভিযুক্ত করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নাম্বার-১৮৭) করেছেন ওই ব্যবসায়ী। বিশ্বনাথ থানায় গেল সোমবার (৪ এপ্রিল) রাতে জিডি করেন উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের মিয়ারবাজারের ‘স্বাদ এন্ড কোং’র পরিচালক ও বল্লভপুর গ্রামের মজর আলীর ছেলে মো. আনোয়ার আলী (৩২)। সাধারণ ডায়েরিতে প্রকাশ, একই গ্রামের জমির আলী (৬৫), পিতা : মৃত রশিম উল্লাহ, মো. সাহিদ আলী (৭০), পিতা : মৃত মফিজ উল্লাহ, কাঁচা মিয়া (৩৩), ও ইয়াজুল হক (২৫) উভয় পিতা : মৃত শহিদ আলী গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ওই ব্যবসায়ীর বিরোধ রয়েছে। এর জেরে প্রায় ৬-৭ বছর পূর্বে গ্রামের মসজিদে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অভিযুক্ত ও তাদের সহযোগীরা প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে তাকে। পরে একাধিক বার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ী ফেরার পথেও হামলা চালানো হয়। গেল বছরের ১লা ফেব্রুয়ারি রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির সামনের রাস্তায়ই ফের আক্রমণ করা হয় তাকে। এসময় আহত হলেও মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের কাছে থেকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হন তিনি। সম্প্রতি গ্রামে সাড়ে ৯ শতক ভূমি পৃথক দুই দলিল মূলে খরিদ করেন তিনি। এর পাশেই অভিযুক্তদের জমি হওয়ায় আক্রোশে তারা নানা ভাবে পূর্ব শত্রুতাবশত ফের প্রাণে হত্যার পায়তারা করছে তাকে। তিনি যেন তার ক্রয় করা ফসলি জজমি ব্যবহার করতে না পারেন এজন্যে, গত বৃহষ্পতিবার (২রা এপ্রিল) সকালে ১নং ও ২নং অভিযুক্তদের প্ররোচনায় ৩ ও ৪নং অভিযুক্ত গং রাস্তার উপরে স্থাপন করেছে একাধিক ঢালাই পিলার। সেই সাথে ক্রয়কৃত জায়গা ছেড়ে দিতে অভিযুুক্ত কাঁচা মিয়া হুমকি দিয়ে বলেছে, জায়গা পরিত্যাগ না করলে, ‘সাহিদ আলীর হুকুম, তারা যেন আমাকে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করবে।’
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ শামীম মূসা বলেন, তদন্ত পূর্বক অভিযোগের আলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।