গোটা বিশ্ব থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছে মিয়ানমার। দেশটিতে ইন্টারনেটের পরিসেবা ক্রমাগতভাবে সীমিত করা হচ্ছে। আর সর্বশেষ বেসরকারি পত্রিকাটির প্রকাশনাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে মিয়ানমার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের সর্বশেষ বেসরকারি পত্রিকার প্রকাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ইন্টারনেট সেবা আরো সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারবাসীকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই জান্তা সরকার এসব কৌশল নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ও দেশটির নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চিসহ সামরিক বাহিনীর হাতে আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ চলছে।
অভ্যুত্থানবিরোধী প্রতিবাদকারীরা সংগঠিত হতে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করে আসছিল, কর্তৃপক্ষ এই পরিষেবার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে; বৃহস্পতিবার থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত স্থানগুলোর অধিকাংশ ওয়াই-ফাই অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের উত্তরপূর্বাঞ্চলভিত্তিক বেসরকারি বার্তা সংস্থা তাচিলেক ক্যাবল কাটার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে জানিয়েছে, তারা প্রতিবেশী থাইল্যান্ড থেকে আসা ফাইবার লিঙ্ক বিচ্ছিন্ন করছেন।
এই প্রতিবেদন তারা যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। মিয়ানমারে তথ্য যাচাই করা ক্রমাগত কঠিন হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে তারা।