ডেস্ক রিপোর্টঃ যুক্তরাজ্যে তৃতীয় দফা লকডাউনের শেষ পর্যায়ে লকডাউন থেকে অতি কৌশল ও সচেতনতার সাথে বেরিয়ে আসতে দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের রয়েছে বেশ সতর্কতা আর সেই লক্ষ্যেই ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিলতায় বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আজ সোমবার ২২শে ফেব্রুয়ারী বরিস জনসন ঘোষণা করেছেন একটি রোডম্যাপ সেই রোডম্যাপের প্রথম ধাপেই ইংল্যান্ডের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খুলে দেয়া সহ বেশকিছু পরিকল্পনা।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন তা হলো নিম্নরূপঃ
১. ৮ই মার্চ থেকে সকল স্কুল চালু হবে। সেই সাথে আফটার স্কুল স্পোর্টস এবং রিক্রেশনের ব্যবস্থা ও খোলা থাকবে।
২. পাবলিক স্পেইসে এক সাথে দুইজনে দেখা করা যাবে, প্রয়োজনে চা কফি পান করতে পারবেন। কেয়ার হোমগুলোতে এক জনকে ভিজিটর প্রবেশের অনুমতি থাকবে।
৩. ২৯শে মার্চ থেকে ঘরের ভাইরে দুই পরিবার সদ্যরা দেখা করতে পারবেন, অথবা এক সাথে ৬ জন সমবেত হতে পারবেন।
৪. বাইরে স্পোর্ট এরিয়াতে খেলাধূলার অনুমতি থাকবে, যেমন টেনিস কোর্ট, প্রাপ্ত বয়স্ক এবং শিশুদের খেলাধূলা চালু হবে।
৫. ২৯শে মার্চ থেকে এক শহরের লোক অন্য শহরে যেতে পারবেন বা অন্য অন্চলে যাতায়াত করতে পারবেন।
ধাপে ধাপে লক ডাউনের আরো শিথিল হবে।
এপ্রিল থেকে আউটডোর পরিসেবা সকল প্রকার অপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান চালু হবে।
মে মাসে পাব রেস্টুরেন্ট খোলা হতে পারে এবং জুলাই মাসের মধ্যে সবার জন্য ভ্যাকসিন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে,”।
রোডম্যাপের আওতায় এপ্রিল মাসে আউটডোর পরিষেবাগুলি ফিরে আসতে পারে,তবে পাব এবং রেস্তুরা ইন্ডোর সার্ভিস মে মাসে শুরু হতে পারে ।
তবে যে সকল কাজ বা সার্ভিস গুলি অব্যহত থাকবে :-
১. করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া ধারাবাহিক ভাবে চলবে।
২. যদি কেহ বেশী অসুস্থ্ না হলে হাসপাতালে না যাওয়া। ঘরে থেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া।
৩. ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ও ফোন করে জিপি কে বা হাসপাতালে বিরক্ত না করা।
৪. করোনা সহসায় যাচ্ছে এমন কিছু মনে না করা কারন করোনাভাইরস সহসায় যাচ্ছে না। যেকোন সময় আঘাত হানতে পারে তবে সবাইকে শতর্ক থাকতে হবে।
৫. এই নিয়ম শুধু ইংল্যান্ডে বলবৎ হবে অন্য দেশ স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দান আইল্যান্ড তাদের সরকারের নিয়ম অনুযায়ী লক ডাউন পরিচালিত হবে।