নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ছাতক রেলওয়ে গোডাউনে নিরাপত্তা প্রহরীকে খুন করে ডাকাতির ঘটনার মুল আসামী ডাকাত সর্দার আজম আলী গ্রেফতার। উল্লেখ যে গত ২৯ জুন রাত ১০ টায় ছাতক রেলওয়ের নিরাপত্তা প্রহরী ফখরুল আলম প্রতিদিনের ন্যায় ছাতক রেলওয়ের গোডাউনের নৈশ প্রহরী হিসাবে ডিউটিতে নিয়োজিত হয়। সকাল ৬ টা পর্যন্ত ডিউটি শেষে নিজ বাসায় ফেরার কথা ছিল তার। কিন্ত অজ্ঞাত নামা ডাকাত দল রাত্র অনুমান ০২.০০ টার সময় গোডাউনের তালা ভেঙ্গে ভীতরে প্রবেশ করিয়া নিরাপত্তা প্রহরী ফখরুল আলমকে নির্মম ভাবে হত্যা করিয়া গোডাউন থাকা রেলওয়ের লৌহ জাতীয় বিভিন্ন মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরদিন সকাল ০৮.৩০ ঘটিকার সময় ছাতক রেলওয়ের গোডাউনে নৈশ্য প্রহরী ফখরুল আলম এর রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। উক্ত ঘটনায় মৃতের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করিলে সুনামগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম এর দিক নির্দেশনায় এই চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার দায়িত্ব পান ছাতক থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম। ডাকাত সর্দার আজম আলীর নেতৃত্তে একদল ডাকাত খুন সহ ডাকাতির ঘটনাটি সংগটিত করে মর্মে দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার রহস্য উদঘাটন করেন এবং মামলার ঘটনায় জড়িত ইতিপূর্বে ডাকাত সর্দার আজম আলীর সহযোগী ০৫ জন আসামী গ্রেফতার করিতে সক্ষম হন। গ্রেফতার কৃত ০৫(পাঁচ)জন আসামীই বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। কিন্ত ডাকাত সর্দার আজম আলী ঘটনার পরপরই মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্বগোপনে চলে যায়। কিন্ত শেষ রক্ষা হলো না।
ছাতক থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম এর নেতৃত্তে ছাতক থানার অফিসার ফোর্সের সহায়তায় ইং ০৮/০৯/২০২০ তারিখ দুপুর ০১.০০ টার সময় নোয়ারাই ইসলামপুর এলাকা হইতে চাঞ্চল্যকর খুন সহ ডাকাতি মামলার মুল হোতা ডাকাত সর্দার আজম আলী(৪৫) পিতা মৃত হোছন আলী সাং নোয়ারাই ইসলামপুর এলাকা হইতে গ্রেফতার করিতে সক্ষম হন। উক্ত আসামী কিছুদিন পূর্বে তিন বছর সাজা ভোগ করে মহামান্য হাইকোর্ট হইতে জামিনে এসে রেলওয়ে গোডাউনের প্রহরীকে খুন করে ডাকাতি করে। উক্ত ডাকাতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি , ছিনতাই, দ্রুতবিচার মামলা রহিয়াছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম বলেন, কোন অপরাধী অপরাধ করে পার পাবে না। তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে।