টাইম নিউজ বিডি ডেস্ক : 
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মানুষ গড়ার কারিগর এম. আবুল হাশেম বিএসসি’র স্বপ্নের প্রতিষ্টিত সন্তানের প্রধান হক দ্বীনদার শিক্ষিত মা তৈরীর কারখানা জামেয়া ইসলামিয়া হাজী আব্দুছ ছাত্তার মহিলা মাদ্রাসা ও জুলেখা মাদারিসুল উম্মাহাত শিমুলতলা বিশ্বনাথে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী ২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পুরস্কার ও ৩১৭ জনের মধ্যে শীত বস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে। আন-নিয়ামাহ উইমেন্স এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের ব্যবস্থাপনায় মাদ্রাসা হলরুমে শীত বস্ত্র, পুরস্কার ও গুনীজনদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
জামেয়ার মজলিসে শুরার সভাপতি হাজী আব্দুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী।
মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব হাফিজ মাওলানা রেজাউল হক রাজু ও সংগঠক এ কে এম তুহেমের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম নুনু মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, সহসভাপতি মোহাম্মদ আসাদুজামান আসাদ, যুগ্ম সম্পাদক আমির আলী, মকদ্দছ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমন, সদস্য আব্দুল জলিল জালাল, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী জাহান, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক আ: আহাদ, মাদ্রাসার পৃষ্ঠপোষক পর্ষদের সন্মানীত সদস্য বিশিষ্ঠ ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা ফয়জুর রহমান, জামেয়ার মজলিসে শুরার সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, আরেক সহ-সভাপতি ব্যবসায়ী আ: মানিক, সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন কিসমত, ট্রেজারার হাজী আ: রহমান, প্রবাসী সাংবাদিক ফখরুল হোসাইন জনি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা সালিম আহমদ। অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার শুভানুধ্যায়ী বীরমুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব আলী, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, হাজী সাইদুর রহমান সালাত, মুহিবুর রহমান, আরশ আলী, বিশ্বনাথ পৌরসভার সহায়ক কমিটির সন্মানীত সদস্য, মাদ্রাসার শুভানুধ্যায়ী নজরুল ইসলাম দুলাল মেম্বার, হাজী আলমাছ আলী, হাজী আলতাব আলী, আব্দুল খালিক, সংগঠক কামাল হোসেনসহ মাদ্রাসার ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক, শুভানুধ্যায়ী রাজনীতিবীদসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তি এবং পর্দার সহিত ৩ শতাধিক মহিলা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, সদূর প্রবাস থেকে দ্বীন এবং ইসলামের কাজ করে যাচ্ছেন আবুল হাশেম বি এস সি। দ্বীনদার মা তৈরীতে নিরলসভাবে কাজ করে নিজ এলাকাকে আজ আলোকিত করেছেন। এধরনের প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে সবার দায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়িত্ব পালন করতে তিনি সবার প্রতি আহবান জানান । তিনি বলেন এটা একটা মহিলা মাদ্রাসা, কে করেছেন আবুল হাশেম বি এস সি করেছেন। তিনি একজন শিক্ষীত মানুষ, শিক্ষার মর্যাদা তিনি বুঝেন । তিনি এলাকাকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসার জন্য এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন । ইসলামে মায়ের মর্যাদা অপরিসীম । একজন মা শিক্ষিত হলে একটা পরিবার শিক্ষিত, পরিবারের সন্তানরা শিক্ষিত হবে, এসব মাথায় নিয়েই এ প্রতিষ্ঠান করেছেন ।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান ডিজিটাল যুগে এক অত্যাধুনিক বিদ্যাপিঠ হাজী আব্দুছ ছাত্তার মহিলা মাদ্রাসা। আমি ওই মাদ্রাসার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সন্মানীত চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া মাদ্রাসার ভুয়সী প্রশংসা করেন, তিনি মাদ্রাসার জন্য ১ মাসের মধ্যে একটি শক্তিশালী সর্বোচ্চ মূল্যের গভীর নলকুপ স্থাপনের দৃঢ়ভাবে আশ্বাস দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সন্মানীত সভাপতি বিশিষ্ট সালিশ ব্যক্তিত্ব তার বক্তব্যে বলেন বি এস সি হাশেম সাব সম্পর্কে আমাদেরকে বলতে হবে না । উনি আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু, আমরা একসাথে লেখাপড়া করেছি, ছোটবেলা থেকেই মানুষটা খুবই ধার্মিক এবং ছাত্র হিসেবে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন । উনার অবদান বিশ্বনাথবাসী কোনদিন ভৃলবে না, বিশ্বনাথের অনেক জায়গায় তার অবদান আছে, উনি স্কুল করেছেন, মাদ্রাসা, কলেজ করেছেন, আমাদের মফিজ আলী বালিকা বিদ্যালয়ে একটা মাসজিদ করে দিয়েছেন । তিনি তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে তাঁর যোগ্যতা প্রমাণ করতে পেরেছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার ছোট ছোট ছাত্রীদের ইংরেজী, বাংলা ও আরবিতে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখে আমরা সবাই অভিভূত । তাদের কথা বলার ধরন খুবই উন্নত মানের এতে হাশেম সাবের মেধার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে । আমি বলবো হাশেম সাবের মেধা এ বাংলাদেশে প্রচলিত আছে এবং থাকবে এবং অচিরেই এ মাদ্রাসা থেকে এলাকার প্রতিটি ঘরে যোগ্য দ্বীনদার শিক্ষিত মা তৈরি হবে । আমি উনার দ্বিরঘায়ূ কামনা করি এবং উনাকে সাহায্য করার জন্য আমারা সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত আছি ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলায়াত করেন মাদ্রাসার ছাত্রী মোছা: সুমাইয়া বেগম। ইংরেজী, আরবী ও বাংলা মুকালামা (ডায়লগ) পরিবেশন করেন মাদ্রাসার ছাত্রী মোছা: আমিনা বেগম, আনিকা বেগম, রেবা বেগম, সুমাইয়া বেগম, সাজিদা বেগম, মাহিরা বেগম এবং আরও ১১ জন ছাত্রী বিভিন্ন ইভেনটস পরিবেশন করে অনুষ্ঠানের উপস্থিত সন্মানীত অতিথি বৃন্দ সহ বিরাট উপস্থিতিকে বিমুহিত করে ।
