ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে আদর্শিক দাওয়াত অব্যাহত রাখতে হবে- মোহাম্মদ নুরুল আমিন তারেক স্কানথর্প ইউনাইটেডর বিজয়ে ক্লাবের ভাইস চেয়ারম্যান রজিউর রহমান মর্তুজা কে অভিনন্দন। নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের চাচার মৃত্যুতে ক্লাবের শোক প্রকাশ। সমাজের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নর্থ বাংলা প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকে কর্তৃক সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত। ইউনাইটেড রোটস এর আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়।

একশো টাকার জন্য অটোরিক্সা চালককে পিটিয়ে হত্যা!

অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর থেকেঃ লক্ষ্মীপুরে সড়ক মেরামতের অতিরিক্ত টাকা আদায় নিয়ে সফিক মোল্লা নামের এক অটোরিক্সা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের মরদেহ শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এর আগে সদর উপজেলার ২০নং চর রমনী মোহন ইউনিয়নের আসমত আলী মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সফিক স্থানীয় মজিদ মোল্লার ছেলে।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, স্থানীয় ২০নং চর রমনী মোহন গ্রামের আসমত আলী সড়ক (কাঁচা) চলমান বর্ষায় বৃষ্টিতে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে উঠে। সম্প্রতি তৌহিদ ও মমিনসহ কয়েকজন যুবক শ্রমিকদের দিয়ে ওই সড়ক মেরামত করে। এরপর ওই সড়কে চলাচলকৃত যানবাহন থেকে ১০০ টাকা করে তুলতে থাকে তারা।
শুক্রবার বিকেলে অটোরিক্সা চালক সফিক ও মিন্টু নামের এক মোটর সাইকেল আরোহী যাত্রী নিয়ে ওই সড়ক দিয়ে যায়। এই সময় দু’জনের কাছে ২০০ টাকা চাইলে তারা ১০০ টাকা দেন। পরে সন্ধ্যায় সেই অটোরিক্সা চালক ফেরার পথে তারা আবারো তাকে আটকিয়ে ৫০০ টাকা দাবী করে। তা না দেয়ায় তৌহিদ ও মমিনসহ ৭/৮ জন যুবক তাকে বেধম মারধর করে। পরে সে বাড়ী ফিরলে কয়েকবার বমি করে মারা যান। খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান ও সদর থানার ওসি জসীম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের মরদেহ লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন পরিবার ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বিকেলের দিকে স্থানীয় কয়েকজন লোক সফিক মোল্লাকে মারধর করেছে। পরে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। সন্ধ্যার পর তার কয়েকবার বমি হয় এবং তিনি মারা যান। মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এবং ঘটনার তদন্তে মৃত্যুর মূল রহস্য জানা যাবে।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে আদর্শিক দাওয়াত অব্যাহত রাখতে হবে- মোহাম্মদ নুরুল আমিন তারেক

একশো টাকার জন্য অটোরিক্সা চালককে পিটিয়ে হত্যা!

আপডেট সময় ১২:২৮:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর থেকেঃ লক্ষ্মীপুরে সড়ক মেরামতের অতিরিক্ত টাকা আদায় নিয়ে সফিক মোল্লা নামের এক অটোরিক্সা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের মরদেহ শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এর আগে সদর উপজেলার ২০নং চর রমনী মোহন ইউনিয়নের আসমত আলী মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সফিক স্থানীয় মজিদ মোল্লার ছেলে।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, স্থানীয় ২০নং চর রমনী মোহন গ্রামের আসমত আলী সড়ক (কাঁচা) চলমান বর্ষায় বৃষ্টিতে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে উঠে। সম্প্রতি তৌহিদ ও মমিনসহ কয়েকজন যুবক শ্রমিকদের দিয়ে ওই সড়ক মেরামত করে। এরপর ওই সড়কে চলাচলকৃত যানবাহন থেকে ১০০ টাকা করে তুলতে থাকে তারা।
শুক্রবার বিকেলে অটোরিক্সা চালক সফিক ও মিন্টু নামের এক মোটর সাইকেল আরোহী যাত্রী নিয়ে ওই সড়ক দিয়ে যায়। এই সময় দু’জনের কাছে ২০০ টাকা চাইলে তারা ১০০ টাকা দেন। পরে সন্ধ্যায় সেই অটোরিক্সা চালক ফেরার পথে তারা আবারো তাকে আটকিয়ে ৫০০ টাকা দাবী করে। তা না দেয়ায় তৌহিদ ও মমিনসহ ৭/৮ জন যুবক তাকে বেধম মারধর করে। পরে সে বাড়ী ফিরলে কয়েকবার বমি করে মারা যান। খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান ও সদর থানার ওসি জসীম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের মরদেহ লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন পরিবার ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বিকেলের দিকে স্থানীয় কয়েকজন লোক সফিক মোল্লাকে মারধর করেছে। পরে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। সন্ধ্যার পর তার কয়েকবার বমি হয় এবং তিনি মারা যান। মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এবং ঘটনার তদন্তে মৃত্যুর মূল রহস্য জানা যাবে।