মোঃ আলমগীর ইসলাম,গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার সাবেক দুই যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় বিভাগীয় মামলা করেছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরও কেন চাকরি থেকে বরখাস্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হলো না, তার কারন দশ্যানোর জন্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে লিখিত দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ ২৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। অভিযুক্তরা হলেন, সাদুল্লাপুর উপজেলার সাবেক যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইউসুফ আলী ভূইয়া (বর্তমানে নরসিংদীর জেলার উপজেলায়) কর্মরত ও হাসান আলী (বর্তমানে সৈয়দপুর, নীলফামারী) কর্মরত।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচিতে অত্যন্ত সুকৌশলে অনিয়ম দুর্নীতি ও জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তৎকালীন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইউসুফ আলী ভুইয়া ও হাসেন আলী। তারা উভয়ে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণে সাদুল্লাপুর উপজেলার ৪ হাজার ২৯৪ জনের অনুমোদিত তালিকা দিয়েই প্রশিক্ষণ শুরু করে ভুয়া বিল-ভাউচার ও তথ্য গোপন করাসহ নানা কৌশলে সরকারের চৌদ্দ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করেন। প্রাথমিক তদন্তে এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনসহ স্থানীয়ভাবে উত্থাপিত নানা অভিযোগের সত্যতাও পায় মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। এছাড়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বহিরাগত ইমরান হোসেনকে বিধিবহিভূতভাবে নিয়োগ ও প্রভাষক শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৮ জনকে জালিয়াতির মাধ্যমে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির অভিযোগের প্রমাণও উঠে এসেছে।
আদেশে অসদাচারণ ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত তৎকালীন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইউসুফ আলী ভুইয়া ও হাসেন আলী সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর ৩ (খ) ও ৩(ঘ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। সুতরাং কেন তাদের বরখাস্ত করা হবেনা তার জবাব আগামি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদেশে পত্রে।
এর পূর্বে, চলতি বছরের জানুয়ারীতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার হয়। বিষয়টি নজরে আসায় দুর্নীতি তদন্তে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।