মোঃ আলাল মিয়া, নবীগঞ্জ থেকেঃ নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদসহ উপজেলা প্রশাসনের কটোর হস্তক্ষেপে শান্তির পথে হাটছেন বিরোধীয় এলাকা করগাঁও ইউনিয়নের করগাঁও ও সাকোয়া গ্রামবাসী। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারন মানুষের মাঝে। সোমবার দুপুরে করগাওঁ গ্রামবাসী ৫ গ্রামের মিটিংয়ের আহ্বান করে। খবর পেয়ে ছুটে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মহি উদ্দিন, বাহুবল সার্কেল এসপি আবুল খায়ের, থানার অফিসার ইনচার্জ ডালিম আহমদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ মিলু, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এওর মিয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি উত্তম কুমার পাল হিমেল। নেতৃবৃন্দ করগাওঁ গ্রামে অনুষ্টিত ৫ গ্রামের লোকজনদের এলাকায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানান। সেই সাথে সংঘটিত ঘটনা শালিসের মাধ্যমে নিঃস্পত্তির অনুরুধ করলে গ্রামবাসী ৩/৪ দিনের মধ্যে তাদের মতামত প্রদানের আশাস দিয়েছেন এবং সেই সাথে নতুন করে কোন প্রকার দাঙ্গা-হাঙ্গামা না করার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে নেতৃবৃন্দ উপজেলার সাকোয়া গ্রামবাসীর সাথে স্থানীয় ইউনিয়ন অফিসে মিটিং করেন। এ সময় উপরোক্ত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্যানেল মেয়র সাংবাদিক এটিএম সালাম, ইউপি চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিন। এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন মেম্বার আব্দুর রউপ, সাহেব আলী, আব্দুল কদ্দুছ সাগর, আব্দুল মতিন, শিক্ষক রুবেল মিয়া, সুনুক মিয়া প্রমূখ। সাকোয়া গ্রামবাসী এলাকার শান্তি শৃংখলা রক্ষাসহ শালিসের মাধ্যমে বিরোধ নিঃস্পত্তির পক্ষে বক্তব্য প্রদান কালে নতুন করে কোন প্রকার দাঙ্গা-হাঙ্গামা করবে না মর্মেও প্রতিশ্রুতি দেন। ফলে দু’ এলাকায় শান্তির বাতাস বইছে। এদিকে তৃতীয় একটি পক্ষ উক্ত দু’ এলাকায় দাঙ্গা ছড়ানোর জন্য উস্কানি মুলক বক্তব্যের অভিযোগ উটেছে।
উল্লেখ্য, ছোট বাচ্চাদের মাছ ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার বিকালে দু” গ্রামবাসীর ২ ঘন্টাব্যাপি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের শিশুসহ অর্ধ শতাধিক লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।