ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনার এর সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুক্তরাজ্যের নর্থ-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফখরুল হোসাইনের সাথে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকের আত্মপ্রকাশ, সভাপতি ফখরুল হোসাইন সম্পাদক নুরুল আমিন ৪০ কেজি ওজনের হলি রামাদ্বান ফ্যামেলি ফুড প্যাক বিতরণ করল আননিয়ামাহ উইমেন্স এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ

চলে গেলেন বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু বৃটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং

চলে গেলেন বিশ্বের একজন মেধাবী বৃটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সায়মন ড্রিংয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক তুষার আব্দুল্লাহ।

তিনি জানান, গত শুক্রবার (১৬ জুলাই) রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে অন্ত্রে অস্ত্রোপচারের সময় তার মৃত্যু হয়। তিনি রোমানিয়ার একটি নিভৃত পল্লীতে বাস করতেন। মৃত্যুকালে সায়মন ড্রিং স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।
সায়মনের বাংলাদেশি বন্ধু সাংবাদিক তুষার একুশে টিভিতে তার সহকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে তুষার আব্দুল্লাহ বলেন, কলম আর ক্যামেরা হাতে নিজের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে নিরীহ বাঙালিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন সাংবাদিক সায়মন ড্রিং।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের ভয়াবহতা ও নৃশংসতার শুরু থেকেই প্রতিবেদন করছিলেন ব্রিটিশ এ সাংবাদিক। বাংলাদেশ থেকে তাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল। ভারতে মার্ক টালি যেমন, সায়মন ড্রিং বাংলাদেশের মানুষের কাছে সেরকমই একজন।
সায়মন ড্রিং ছিলেন অকুতোভয় ও মেধাবী সাংবাদিক। তিনি বিবিসি, রয়টার্স, টেলিগ্রাফ, ওয়াশিংটন পোস্টের মতো শীর্ষ সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন। পেয়েছেন বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টার অব দ্য ইয়ার-১৯৭১।
২০০০ সালে সায়মন ড্রিং বাংলাদেশে এসেছিলেন এ দেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভি গড়ে তোলার প্রধান কারিগর হিসেবে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। পরে ২০০২ সালের অক্টোবরে সরকার সায়মন ড্রিংয়ের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে তাকে অবিলম্বে বাংলাদেশ ত্যাগের আদেশ দেয়। এরপর তিনি বাংলাদেশ থেকে চলে যান।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম।

চলে গেলেন বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু বৃটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং

আপডেট সময় ১২:৩৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ জুলাই ২০২১

চলে গেলেন বিশ্বের একজন মেধাবী বৃটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সায়মন ড্রিংয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক তুষার আব্দুল্লাহ।

তিনি জানান, গত শুক্রবার (১৬ জুলাই) রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে অন্ত্রে অস্ত্রোপচারের সময় তার মৃত্যু হয়। তিনি রোমানিয়ার একটি নিভৃত পল্লীতে বাস করতেন। মৃত্যুকালে সায়মন ড্রিং স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।
সায়মনের বাংলাদেশি বন্ধু সাংবাদিক তুষার একুশে টিভিতে তার সহকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে তুষার আব্দুল্লাহ বলেন, কলম আর ক্যামেরা হাতে নিজের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে নিরীহ বাঙালিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন সাংবাদিক সায়মন ড্রিং।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের ভয়াবহতা ও নৃশংসতার শুরু থেকেই প্রতিবেদন করছিলেন ব্রিটিশ এ সাংবাদিক। বাংলাদেশ থেকে তাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল। ভারতে মার্ক টালি যেমন, সায়মন ড্রিং বাংলাদেশের মানুষের কাছে সেরকমই একজন।
সায়মন ড্রিং ছিলেন অকুতোভয় ও মেধাবী সাংবাদিক। তিনি বিবিসি, রয়টার্স, টেলিগ্রাফ, ওয়াশিংটন পোস্টের মতো শীর্ষ সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন। পেয়েছেন বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টার অব দ্য ইয়ার-১৯৭১।
২০০০ সালে সায়মন ড্রিং বাংলাদেশে এসেছিলেন এ দেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভি গড়ে তোলার প্রধান কারিগর হিসেবে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। পরে ২০০২ সালের অক্টোবরে সরকার সায়মন ড্রিংয়ের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে তাকে অবিলম্বে বাংলাদেশ ত্যাগের আদেশ দেয়। এরপর তিনি বাংলাদেশ থেকে চলে যান।