ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনার এর সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুক্তরাজ্যের নর্থ-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফখরুল হোসাইনের সাথে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকের আত্মপ্রকাশ, সভাপতি ফখরুল হোসাইন সম্পাদক নুরুল আমিন ৪০ কেজি ওজনের হলি রামাদ্বান ফ্যামেলি ফুড প্যাক বিতরণ করল আননিয়ামাহ উইমেন্স এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ

সীমাহীন কষ্টে বেড়ে উঠছে শিশু ইসলামের জীবন

গাজী তাহের লিটন:​ সীমাহীন সম্ভাবনার, সহস্র ত্যাগের, ও প্রগাঢ় প্রতিশ্রুতির দেশ – আমাদের বাংলাদেশ।সেই দেশে এখনো চলছে ভোগ-বিলাসী একশ্রেণির মানুষের দুঃসহ দাপট।যাদের ক্ষুধা মিটে গরিবেরটা খেয়ে! হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দটাও চলে যায় এদের পেটে।ছবির এ ছোট্ট শিশুটিও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারতো যদি,​ সমাজের​ বিত্তবানরা এতোটুকু মানবিক হতো।
মো. ইসলাম। বয়স সাড়ে নয় বছর। বাড়ি ভোলা জেলার ৪ নং কাচিয়া ইউনিয়নের চকঢোষ ৮ নং ওয়ার্ডের মুসলিম বাজার বৈদ্যেরপোল এলাকায়। ওর ভাষ্যমতে, বাবা: মো. হাসেম, মা: লাইজু ওদের দুই ভাইকে নানা জাহাংগীরের কাছে রেখে চট্টগ্রামে চলে যায়। তারা আর ফিরেনি, খবরও নেয়না ওদের।
এ প্রতিবেদক লক্ষ্য করে প্রায় প্রতিদিনই কুঞ্জেরহাট বাজার ও আশেপাশের এলাকায় শিশুটি হাত পেতে টাকা চায়।সম্প্রতি, সে কুঞ্জেরহাট দক্ষিণ বাজার জামে মসজিদের সিঁড়ি থেকে পড়ে মাথা ও কপাল ফেটে যায়। মুসল্লিরা ছেলেটিকে ডাক্তার দেখায়। তার কপালে ও মাথায় কয়েকটি সেলাইও দেয়া হয়েছে। ব্যথায় এখনো সে খুব কষ্ট পাচ্ছে।​
মো. ইসলাম সম্পর্কে তাৎখনিক বিস্তারিত আর কিছু জানা যায়নি।তবে এতোটুকু বুঝা যায়,ছেলেটি বাবা, মা’র​ আদর-স্নেহ থেকে বঞ্চিত। নানা প্রতিকূলতায় সে বেড়ে উঠলেও পদে, পদে অবহেলা ও অনাদারের শিকার।বিভিন্ন খাবারের দোকানে খাবার চাইতে গিয়ে তাকে গলাধাক্কারও শিকার হতে হয়।আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও মো. ইসলামের সাথে এ প্রতিবেদকের দেখা হয় কুঞ্জেরহাট বাজারে।ছেলেটির কষ্টের কথা শুনে এ প্রতিবেদক তাকে কিছু টাকা দিলে তার চোখেমুখে হাসি ফুটে ওঠে।​
সমাজের বিত্তবান, জনপ্রতিনিধিগন ও উপজেলা সমাজসেবা অফিস উদ্যোগ নিয়ে শিশু মো. ইসলামের প্রতি সহানুভুতির হাত বাড়ালে ওর ভবিষ্যত জীবনটা আদর্শ মানুষের মতো গড়ে উঠতে পারে।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম।

সীমাহীন কষ্টে বেড়ে উঠছে শিশু ইসলামের জীবন

আপডেট সময় ০১:৫২:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
গাজী তাহের লিটন:​ সীমাহীন সম্ভাবনার, সহস্র ত্যাগের, ও প্রগাঢ় প্রতিশ্রুতির দেশ – আমাদের বাংলাদেশ।সেই দেশে এখনো চলছে ভোগ-বিলাসী একশ্রেণির মানুষের দুঃসহ দাপট।যাদের ক্ষুধা মিটে গরিবেরটা খেয়ে! হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দটাও চলে যায় এদের পেটে।ছবির এ ছোট্ট শিশুটিও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারতো যদি,​ সমাজের​ বিত্তবানরা এতোটুকু মানবিক হতো।
মো. ইসলাম। বয়স সাড়ে নয় বছর। বাড়ি ভোলা জেলার ৪ নং কাচিয়া ইউনিয়নের চকঢোষ ৮ নং ওয়ার্ডের মুসলিম বাজার বৈদ্যেরপোল এলাকায়। ওর ভাষ্যমতে, বাবা: মো. হাসেম, মা: লাইজু ওদের দুই ভাইকে নানা জাহাংগীরের কাছে রেখে চট্টগ্রামে চলে যায়। তারা আর ফিরেনি, খবরও নেয়না ওদের।
এ প্রতিবেদক লক্ষ্য করে প্রায় প্রতিদিনই কুঞ্জেরহাট বাজার ও আশেপাশের এলাকায় শিশুটি হাত পেতে টাকা চায়।সম্প্রতি, সে কুঞ্জেরহাট দক্ষিণ বাজার জামে মসজিদের সিঁড়ি থেকে পড়ে মাথা ও কপাল ফেটে যায়। মুসল্লিরা ছেলেটিকে ডাক্তার দেখায়। তার কপালে ও মাথায় কয়েকটি সেলাইও দেয়া হয়েছে। ব্যথায় এখনো সে খুব কষ্ট পাচ্ছে।​
মো. ইসলাম সম্পর্কে তাৎখনিক বিস্তারিত আর কিছু জানা যায়নি।তবে এতোটুকু বুঝা যায়,ছেলেটি বাবা, মা’র​ আদর-স্নেহ থেকে বঞ্চিত। নানা প্রতিকূলতায় সে বেড়ে উঠলেও পদে, পদে অবহেলা ও অনাদারের শিকার।বিভিন্ন খাবারের দোকানে খাবার চাইতে গিয়ে তাকে গলাধাক্কারও শিকার হতে হয়।আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও মো. ইসলামের সাথে এ প্রতিবেদকের দেখা হয় কুঞ্জেরহাট বাজারে।ছেলেটির কষ্টের কথা শুনে এ প্রতিবেদক তাকে কিছু টাকা দিলে তার চোখেমুখে হাসি ফুটে ওঠে।​
সমাজের বিত্তবান, জনপ্রতিনিধিগন ও উপজেলা সমাজসেবা অফিস উদ্যোগ নিয়ে শিশু মো. ইসলামের প্রতি সহানুভুতির হাত বাড়ালে ওর ভবিষ্যত জীবনটা আদর্শ মানুষের মতো গড়ে উঠতে পারে।