গাজী তাহের লিটন: বেঁচে আছে সে! চোখের কোণ্ গড়িয়ে ঝরছে বিরামহীন কান্না।বড় অসহায়ত্বের বিবর্ণ স্বপ্ন নিয়েও স্ত্রী, সন্তান আর স্বজনদের মাঝে এখনো তাঁর বাঁচার আকুতি।কিন্তু প্রয়োজন বিত্তবান মানুষের নিখাঁদ ভালোবাসার মানবিক সাহায্য। কেউ আছে কী এমন?
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ২নং ওয়ার্ডের মোঃ রওশন জামান এর ছেলে মোঃ ফজলু।
বৈবাহিক জীবনে এক মেয়ে ও দুই ছেলের জনক তিনি। স্থানীয় একটি স্ব’মীলে কাজ করে চলত তাঁর সংসার। গত দুবছর আগে হঠাৎ ধরা পড়ে তার পাইলস/অর্শরোগ। সাময়িক চিকিৎসা চালাতে থাকে। পরে জানা যায়, মলদ্বারে একটি টিউমারও হয়। একপর্যায়ে আত্মীয়স্বজনের সহযোগিতা ও ধারদেনা করে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে টিউমারটি অপারেশন করানো হয়। এভাবেই চলতে থাকে আরো কিছুদিন।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিনতি! এরই মধ্যে তাঁর শরীরে বাসা বাঁধে মরণব্যাধি ক্যানসার। যার সঠিক চিকিৎসা ও থেরাপি দিতে গুনতে হয় অনেক টাকা৷
অভিজ্ঞ ডাক্তারগণ বলেছেন, তাকে ঔষধ সেবনের পাশাপাশি ছয়টি কেমোথেরাপিও দিতে হবে। যার এক-একটির মূল্য ১১ হাজার টাকা।
ইতিমধ্যে তাঁর স্ত্রী একটি গার্মেন্টসে ও বারো বছর বয়সি ছেলেটি একটি চায়ের দোকানে চাকুরী করে এবং একমাত্র সম্বল ঘর ও ভিটাটি কিছু টাকার বিনিময় বন্ধক রেখে ঔষধ কিনা সহ দুটি থেরাপি দিতে পারলেও একদিকে বাকী রয়েছে চারটি থেরাপি অন্যদিকে প্রতিদিনের ঔষধ ও সংসার খরচ!। এ যেনো তাঁর মাথার উপর দাঁড়িয়ে আছে বিশাল এক পাহাড়।
ফজলুর স্ত্রী লাইজু বেগম বলেন, স্বামীর এমন অবস্থায় আমি ও আমার বারো বছর বয়সের ছেলে চট্টগ্রামে চাকরি করেছি। লকডাউনের কারণে আমরা চাকরি হারাই। আর ছেলের বয়সও কম হওয়ায় কেউ কাজে নিতে চায় না। বর্তমানে আসেপাশের লোকজন কিছু দিলে খাই না দিলে উপবাস থাকা ছাড়া করার কিছু নেই। এখন স্বামী ও সন্তানদের দিকে তাকিয়ে রাস্তায় ভিক্ষা করা ছাড়া যেনো আর কিছুই দেখছি না আমি। দয়া করে আপনারা আমাদের এ অসহায় পরিবারের দিকে তাকিয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন।