গাজী তাহের লিটন: সীমাহীন সম্ভাবনার, সহস্র ত্যাগের, ও প্রগাঢ় প্রতিশ্রুতির দেশ – আমাদের বাংলাদেশ।সেই দেশে এখনো চলছে ভোগ-বিলাসী একশ্রেণির মানুষের দুঃসহ দাপট।যাদের ক্ষুধা মিটে গরিবেরটা খেয়ে! হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দটাও চলে যায় এদের পেটে।ছবির এ ছোট্ট শিশুটিও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারতো যদি, সমাজের বিত্তবানরা এতোটুকু মানবিক হতো।
মো. ইসলাম। বয়স সাড়ে নয় বছর। বাড়ি ভোলা জেলার ৪ নং কাচিয়া ইউনিয়নের চকঢোষ ৮ নং ওয়ার্ডের মুসলিম বাজার বৈদ্যেরপোল এলাকায়। ওর ভাষ্যমতে, বাবা: মো. হাসেম, মা: লাইজু ওদের দুই ভাইকে নানা জাহাংগীরের কাছে রেখে চট্টগ্রামে চলে যায়। তারা আর ফিরেনি, খবরও নেয়না ওদের।
এ প্রতিবেদক লক্ষ্য করে প্রায় প্রতিদিনই কুঞ্জেরহাট বাজার ও আশেপাশের এলাকায় শিশুটি হাত পেতে টাকা চায়।সম্প্রতি, সে কুঞ্জেরহাট দক্ষিণ বাজার জামে মসজিদের সিঁড়ি থেকে পড়ে মাথা ও কপাল ফেটে যায়। মুসল্লিরা ছেলেটিকে ডাক্তার দেখায়। তার কপালে ও মাথায় কয়েকটি সেলাইও দেয়া হয়েছে। ব্যথায় এখনো সে খুব কষ্ট পাচ্ছে।
মো. ইসলাম সম্পর্কে তাৎখনিক বিস্তারিত আর কিছু জানা যায়নি।তবে এতোটুকু বুঝা যায়,ছেলেটি বাবা, মা’র আদর-স্নেহ থেকে বঞ্চিত। নানা প্রতিকূলতায় সে বেড়ে উঠলেও পদে, পদে অবহেলা ও অনাদারের শিকার।বিভিন্ন খাবারের দোকানে খাবার চাইতে গিয়ে তাকে গলাধাক্কারও শিকার হতে হয়।আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও মো. ইসলামের সাথে এ প্রতিবেদকের দেখা হয় কুঞ্জেরহাট বাজারে।ছেলেটির কষ্টের কথা শুনে এ প্রতিবেদক তাকে কিছু টাকা দিলে তার চোখেমুখে হাসি ফুটে ওঠে।
সমাজের বিত্তবান, জনপ্রতিনিধিগন ও উপজেলা সমাজসেবা অফিস উদ্যোগ নিয়ে শিশু মো. ইসলামের প্রতি সহানুভুতির হাত বাড়ালে ওর ভবিষ্যত জীবনটা আদর্শ মানুষের মতো গড়ে উঠতে পারে।