ঢাকা ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সমাজের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নর্থ বাংলা প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকে কর্তৃক সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত। ইউনাইটেড রোটস এর আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনার এর সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুক্তরাজ্যের নর্থ-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফখরুল হোসাইনের সাথে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব

সৌদি আরবে বাড়ছে ভ্রমণকারীদের (চুক্তি ভিত্তিক) বিয়ে!

ডেস্ক রিপোর্টঃ- সৌদিআরবে বাড়ছে বন্ধনহীন চুক্তি-বিয়ে বা মিসইয়ার। ‘জাওয়াজ আল মিসইয়ার’ নামে পরিচিত এই বিয়েকে ‘ভ্রমণকারীদের বিয়ে’ বলছেন তাঁরা। স্থানীয় সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে এ বিয়ে প্রচলিত রয়েছে। কোনোরকম আত্মিক বন্ধন ছাড়া এ বিয়ের চুক্তি অনুযায়ী তারা একসঙ্গে থাকতে পারবে।

এর শর্ত অনুযায়ী স্ত্রীর আবাস সংস্থান ও অর্থ ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকবেন স্বামী। বিনিময়ে গৃহ রক্ষণাবেক্ষণ এবং তার ঘরে ঢোকার অনুমতি পাবেন স্বামী। সাম্প্রতিক সময়ে এ বিয়ের বৈধতা দেয়ার জন্য কয়েকটি মুসলিম দেশে চাপ বাড়ছে। খবর এএফপির।
মিসইয়ার বিয়ের শর্তের মধ্যে আরও রয়েছে উভয়ের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে নগদ অর্থ। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকে এর মেয়াদ। তবে যেকোনো সময়ে উভয়পক্ষ মুসলিম বিয়ের মূল রীতি অনুযায়ী বিয়ে করতে পারবেন। আবার যেকোনো সময় একে অন্যকে ছেড়ে যেতে পারবেন। লোকলজ্জার ভয়ে সাধারণত এ বিয়ের কথা গোপন রাখা হয়।
২০১৪ সালে প্রথম আরব নিউজ এ বিয়ের বাস্তবতা নিয়ে প্রতিবেদন রচনা করেছিল। কয়েক দশক ধরে স্থানীয়ভাবে আইনসিদ্ধ এ বিয়ের প্রবণতা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে যাওয়ায় সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন কয়েকটি মিসইয়ার যুগল। লজ্জা ও সমালোচনা এড়াতে তাদের পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এএফপিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তারা।
সাক্ষাৎকারে তাদের ভাষ্য অনুযায়ী বহুবিবাহে আগ্রহীদের জন্যই মিসইয়ার ব্যবস্থা বিশেষভাবে উপযোগী। ধনী ব্যক্তিদের জন্য দ্বিতীয় তার চেয়ে বেশি বিয়ে করার সুযোগ দেয় এ ব্যবস্থা।
এটি আগ্রহী নারীদের পুরুষতান্ত্রিক নানা জটিলতা থেকে দূরে রাখে। এ বিয়েকে হালাল বলে দাবি করেন সৌদি ৪০ বছর বয়সি সরকারি কর্মকর্তা।
তিনি ৩০ বছর বয়সি এক বিধবার সঙ্গে দুই বছরের বেশি সময় এ ধরনের সম্পর্ক রেখেছেন। প্রথম সংসারে তার তিনটি সন্তান রয়েছে। তাদের রেখে যখন খুশি রিয়াদে থাকা মিসইয়ার স্ত্রীকে তিনি দেখতে যান। তবে এ গোপন বিয়ে থেকে তিনি কী পেয়েছেন, তা বলেননি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, তার এক বন্ধুর এ রকম ১১ জন গোপন স্ত্রী রয়েছে।
সৌদি আরবের প্রবাসী শ্রমিকরা বিভিন্ন এপসের মাধ্যমে এ ধরনের বিয়ের খোঁজ নিয়ে থাকেন।

ট্যাগস

সমাজের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে

সৌদি আরবে বাড়ছে ভ্রমণকারীদের (চুক্তি ভিত্তিক) বিয়ে!

আপডেট সময় ০১:৩২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

ডেস্ক রিপোর্টঃ- সৌদিআরবে বাড়ছে বন্ধনহীন চুক্তি-বিয়ে বা মিসইয়ার। ‘জাওয়াজ আল মিসইয়ার’ নামে পরিচিত এই বিয়েকে ‘ভ্রমণকারীদের বিয়ে’ বলছেন তাঁরা। স্থানীয় সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে এ বিয়ে প্রচলিত রয়েছে। কোনোরকম আত্মিক বন্ধন ছাড়া এ বিয়ের চুক্তি অনুযায়ী তারা একসঙ্গে থাকতে পারবে।

এর শর্ত অনুযায়ী স্ত্রীর আবাস সংস্থান ও অর্থ ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকবেন স্বামী। বিনিময়ে গৃহ রক্ষণাবেক্ষণ এবং তার ঘরে ঢোকার অনুমতি পাবেন স্বামী। সাম্প্রতিক সময়ে এ বিয়ের বৈধতা দেয়ার জন্য কয়েকটি মুসলিম দেশে চাপ বাড়ছে। খবর এএফপির।
মিসইয়ার বিয়ের শর্তের মধ্যে আরও রয়েছে উভয়ের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে নগদ অর্থ। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকে এর মেয়াদ। তবে যেকোনো সময়ে উভয়পক্ষ মুসলিম বিয়ের মূল রীতি অনুযায়ী বিয়ে করতে পারবেন। আবার যেকোনো সময় একে অন্যকে ছেড়ে যেতে পারবেন। লোকলজ্জার ভয়ে সাধারণত এ বিয়ের কথা গোপন রাখা হয়।
২০১৪ সালে প্রথম আরব নিউজ এ বিয়ের বাস্তবতা নিয়ে প্রতিবেদন রচনা করেছিল। কয়েক দশক ধরে স্থানীয়ভাবে আইনসিদ্ধ এ বিয়ের প্রবণতা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে যাওয়ায় সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন কয়েকটি মিসইয়ার যুগল। লজ্জা ও সমালোচনা এড়াতে তাদের পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এএফপিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তারা।
সাক্ষাৎকারে তাদের ভাষ্য অনুযায়ী বহুবিবাহে আগ্রহীদের জন্যই মিসইয়ার ব্যবস্থা বিশেষভাবে উপযোগী। ধনী ব্যক্তিদের জন্য দ্বিতীয় তার চেয়ে বেশি বিয়ে করার সুযোগ দেয় এ ব্যবস্থা।
এটি আগ্রহী নারীদের পুরুষতান্ত্রিক নানা জটিলতা থেকে দূরে রাখে। এ বিয়েকে হালাল বলে দাবি করেন সৌদি ৪০ বছর বয়সি সরকারি কর্মকর্তা।
তিনি ৩০ বছর বয়সি এক বিধবার সঙ্গে দুই বছরের বেশি সময় এ ধরনের সম্পর্ক রেখেছেন। প্রথম সংসারে তার তিনটি সন্তান রয়েছে। তাদের রেখে যখন খুশি রিয়াদে থাকা মিসইয়ার স্ত্রীকে তিনি দেখতে যান। তবে এ গোপন বিয়ে থেকে তিনি কী পেয়েছেন, তা বলেননি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, তার এক বন্ধুর এ রকম ১১ জন গোপন স্ত্রী রয়েছে।
সৌদি আরবের প্রবাসী শ্রমিকরা বিভিন্ন এপসের মাধ্যমে এ ধরনের বিয়ের খোঁজ নিয়ে থাকেন।