ঢাকা ০১:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনার এর সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুক্তরাজ্যের নর্থ-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফখরুল হোসাইনের সাথে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকের আত্মপ্রকাশ, সভাপতি ফখরুল হোসাইন সম্পাদক নুরুল আমিন ৪০ কেজি ওজনের হলি রামাদ্বান ফ্যামেলি ফুড প্যাক বিতরণ করল আননিয়ামাহ উইমেন্স এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ en ıyı bahis siteleri’deki En Büyük Yalan

দুই শতাধিক শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধারের পর এবার শত শত গণকবর এর সন্ধান মিলেছে কানাডায়

কানাডার একটি রাজ্য ব্রিটিশ কলম্বিয়া সেখানে একটি স্কুল থেকে গত মাসে প্রায় ২ শতাধিক শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধারের পর এবার দেশটির আরেকটি রাজ্য সাসকাচুয়ানে ‘শত শত’ গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
দেশটির আদিবাসী অধিকার সংস্থা দ্য ফেডারেশন অব সোভারিজিন ইন্ডিজেনাস নেশনস বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এই তথ্য।
বিবৃতিতে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাসকাচুয়ান রাজ্যের ম্যারিভাল ইন্ডিয়ান রেসিডেন্সিয়াল স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এই গণকবরগুলোর সন্ধান পাওয়া গেছে। ঠিক কতসংখ্যক গণকবর সেখানে রয়েছে- সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য অবশ্য জানায়নি সংস্থাটি; তবে বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘কানাডার ইতিহাসে এর আগে এত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
খুব দ্রুত সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে দ্য ফেডারেশন অব সোভারিজিন ইন্ডিজেনাস নেশনস।

এর আগে গত ২৯ মে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া রাজ্যের কামলুপস এলাকার একটি পরিত্যাক্ত আবাসিক স্কুল থেকে ২১৫ জন আদিবাসী শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া সেই দেহাবশেষগুলোর মধ্যে ৩ বছর বয়সী শিশুর দেহাবশেষও ছিল।
পঞ্চদশ শতকে স্পেনীয় অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাস যখন প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে আমেরিকায় পৌঁছেছিলেন, তখন তিনি ভুলক্রমে ভেবেছিলেন যে ভারতে উপস্থিত হয়েছেন। সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীদের তিনি অভিহিত করেছিলেন ‘ইন্ডিয়ান’ হিসেবে।
গায়ের রঙে লালচে ভাব থাকায় সেই থেকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার স্থানীয় আদিবাসীদের ‘রেড ইন্ডিয়ান’ জাতি নামেই চিনে আসছে বিশ্ববাসী।
দেশটির ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, অষ্টাদশ শতকের শেষ থেকে উনবিংশ শতকের শুরুর দিকে যখন কানাডায় দলে দলে ইউরোপীয় বসতকাররা (সেটলার) আসতে থাকে তখন স্থানীয় রেড ইন্ডিয়ান গোত্রগুলোর সঙ্গে তাদের বেশ কিছু সংঘাত হয়েছিল। ইউরোপীয় বসতকারদের হাতে উন্নত অস্ত্র ও প্রযুক্তি থাকায় সবগুলো সংঘাতেই শোচনীয় পরাজয় ঘটেছিল রেড ইন্ডিয়ানদের।
পরাজিত এই রেড ইন্ডিয়ানদের খ্রিস্টান ধর্মে অন্তর্ভুক্ত ও ‘অধিকতর সভ্য’ করে তুলতে উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে কানাডাজুড়ে বিভিন্ন আবাসিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা শুরু করে ইউরোপীয় সেটলাররা। দেশটির আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সে সময় দেশটিতে ১৩৯ টি এ রকম আবাসিক স্কুল ছিল। ক্যাথলিক খ্রিস্টান মিশনারিরা এই স্কুলগুলো পরিচালনা করতেন। সুত্র – রয়টার্স

ট্যাগস

স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়।

দুই শতাধিক শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধারের পর এবার শত শত গণকবর এর সন্ধান মিলেছে কানাডায়

আপডেট সময় ০২:৪১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১

কানাডার একটি রাজ্য ব্রিটিশ কলম্বিয়া সেখানে একটি স্কুল থেকে গত মাসে প্রায় ২ শতাধিক শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধারের পর এবার দেশটির আরেকটি রাজ্য সাসকাচুয়ানে ‘শত শত’ গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
দেশটির আদিবাসী অধিকার সংস্থা দ্য ফেডারেশন অব সোভারিজিন ইন্ডিজেনাস নেশনস বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এই তথ্য।
বিবৃতিতে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাসকাচুয়ান রাজ্যের ম্যারিভাল ইন্ডিয়ান রেসিডেন্সিয়াল স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এই গণকবরগুলোর সন্ধান পাওয়া গেছে। ঠিক কতসংখ্যক গণকবর সেখানে রয়েছে- সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য অবশ্য জানায়নি সংস্থাটি; তবে বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘কানাডার ইতিহাসে এর আগে এত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
খুব দ্রুত সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে দ্য ফেডারেশন অব সোভারিজিন ইন্ডিজেনাস নেশনস।

এর আগে গত ২৯ মে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া রাজ্যের কামলুপস এলাকার একটি পরিত্যাক্ত আবাসিক স্কুল থেকে ২১৫ জন আদিবাসী শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া সেই দেহাবশেষগুলোর মধ্যে ৩ বছর বয়সী শিশুর দেহাবশেষও ছিল।
পঞ্চদশ শতকে স্পেনীয় অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাস যখন প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে আমেরিকায় পৌঁছেছিলেন, তখন তিনি ভুলক্রমে ভেবেছিলেন যে ভারতে উপস্থিত হয়েছেন। সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীদের তিনি অভিহিত করেছিলেন ‘ইন্ডিয়ান’ হিসেবে।
গায়ের রঙে লালচে ভাব থাকায় সেই থেকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার স্থানীয় আদিবাসীদের ‘রেড ইন্ডিয়ান’ জাতি নামেই চিনে আসছে বিশ্ববাসী।
দেশটির ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, অষ্টাদশ শতকের শেষ থেকে উনবিংশ শতকের শুরুর দিকে যখন কানাডায় দলে দলে ইউরোপীয় বসতকাররা (সেটলার) আসতে থাকে তখন স্থানীয় রেড ইন্ডিয়ান গোত্রগুলোর সঙ্গে তাদের বেশ কিছু সংঘাত হয়েছিল। ইউরোপীয় বসতকারদের হাতে উন্নত অস্ত্র ও প্রযুক্তি থাকায় সবগুলো সংঘাতেই শোচনীয় পরাজয় ঘটেছিল রেড ইন্ডিয়ানদের।
পরাজিত এই রেড ইন্ডিয়ানদের খ্রিস্টান ধর্মে অন্তর্ভুক্ত ও ‘অধিকতর সভ্য’ করে তুলতে উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে কানাডাজুড়ে বিভিন্ন আবাসিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা শুরু করে ইউরোপীয় সেটলাররা। দেশটির আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সে সময় দেশটিতে ১৩৯ টি এ রকম আবাসিক স্কুল ছিল। ক্যাথলিক খ্রিস্টান মিশনারিরা এই স্কুলগুলো পরিচালনা করতেন। সুত্র – রয়টার্স