ঢাকা ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনার এর সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুক্তরাজ্যের নর্থ-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফখরুল হোসাইনের সাথে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকের আত্মপ্রকাশ, সভাপতি ফখরুল হোসাইন সম্পাদক নুরুল আমিন ৪০ কেজি ওজনের হলি রামাদ্বান ফ্যামেলি ফুড প্যাক বিতরণ করল আননিয়ামাহ উইমেন্স এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ

বিশ্বনাথের বেশকিছু সড়ক ঝুকিপূর্ণ! সীমাহীন দুর্ভোগে চার ইউনিয়ন বাসী

বিশ্বনাথ থেকে আহমদ আলী হিরণঃ সিলেটের বিশ্বনাথে ভেঙে গেছে সড়ক। ভাঙা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।পিচ-খোয়া উঠে স্থানে স্থানে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। সৃষ্টি হওয়া ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে।

দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংস্কারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কোনো উদ্যোগই নিচ্ছেন না। অথচ এ সড়কটি দিয়ে উপজেলাগুলোতে যাতায়াতের বিশ্বনাথ সদর, রামপাশা, দৌলতপুর ও দশঘর) ইউনিয়নবাসীর মানুষ চলাচল করে।
২০০৯ সালের পর সড়কে আর কোন প্রকার সংস্কার কাজ না হওয়ার ফলে ‘নতুন বাজার মাছহাটা-মুফতিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়ক (টিএনটি সড়ক)’ খানাখন্দে ভরপুর হয়ে জনসাধারণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মাত্র ছয়শ মিটার দৈর্ঘ্যরে জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কের এমন বেহাল দশায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছেন উপজেলার প্রায় চার (বিশ্বনাথ সদর, রামপাশা, দৌলতপুর ও দশঘর) ইউনিয়নবাসীকে। সড়কটি বিশ্বনাথ পৌরসভা ও উপজেলা সদরের প্রানকেন্দ্রে থাকার পর কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
বিশ্বনাথ এলজিইডির আওতাধীন নতুন বাজার মাছহাটা-মুফতিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ‘বাসিয়া ও চড়চন্ডি নদী’। আর দুই নদীর তীরে থাকা দীর্ঘদিনের পুরানো গাছগুলো উপড়ে পড়ে জনবহুল সড়কে ভাঙ্গন ও গর্ত হওয়া শুরু হয়। কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় ভাঙ্গন প্রতিরোধ ও গর্ত মেরামতের উদ্যোগ গ্রহন না করার কারণেই দিন দিন তা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সড়কটির দৈর্ঘ্য মাত্র ছয়শ মিটার হলেও বর্তমানে সড়কে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। কোথাও কোথাও এসব গর্তগুলোকে দূর থেকে মিনি পুকুর বলে মনে হয়। কোথাও কোথাও আবার সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। সড়কের করুণ অবস্থা থাকার পরও প্রতিদিন ছোট-বড় প্রায় ৩/৪শত যানবাহন চলাচল করে ওই সড়ক দিয়ে। জীবন-জীবিকার থাগিদে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালাতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন চালকরা। আর ছোট-বড় দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। বর্ষাকালে জনদূর্ভোগ আরো কয়েকগুন বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির বেহালদশা থাকার কারণে মাথায় হাত পড়ছে সড়কের পাশে গড়ে উঠা শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকের।
সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এলাকার মুসল্লী, প্রবীন ব্যক্তি ও রোগীদের দূর্ভোগের সীমানেই। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা কাদাজলে নষ্ট হচ্ছে পথচারীদের কাপড়। এক্ষেত্রে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় মহিলা ও শিশুদের। বেহালদশা থাকার পরও নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ করার জন্যই উপজেলার সদর, রামপাশা, দৌলতপুর ও দশঘর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষকে চরম দূর্ভোগ সহ্য করে সড়ক ব্যবহার করতে হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির সংস্কার কাজ করার জন্য এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবী জানিয়ে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এমনকি একাধিকবার সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের কাছে এলাকাবাসী স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে। সড়কে পাশে থাকা দীর্ঘদিনের পুরানো গাছগুলোর ব্যাপারেও কোন প্রদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় উপর থেকে পুরানো গাছের শুকনো ডাল ভেঙ্গে পড়লে ও সড়কে থাকা গর্তে পড়ে আহত হওয়ার আতংঙ্কে থাকতে হয় এলাকাবাসীকে।
রোডের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির সংস্কার কাজ না হওয়ার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদেরকে পথে দাঁড়াতে হবে। জনদূর্ভোগ কমানোর জন্য দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক মাসুক মিয়া বলেন, জীবিকার তাগিদে আমাদেরকে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। আর সড়কের এমন করুণ অবস্থা থাকার কারণে চরম আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে আমাদেরকে (চালক)।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি মোকাব্বির খান সাংবাদিকদের বলেন, এলাকাবাসী দূর্ভোগ কমিয়ে আনতে বিভিন্ন এলাকার সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জনগুরুত্বের দিক দিয়ে সকল সকল সংস্কার করা হবে। এর পাশাপাশি এলাকার কাঁচা সড়কগুলোও পাকাকরণের আওতায় আনা হবে।

ট্যাগস

সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম।

বিশ্বনাথের বেশকিছু সড়ক ঝুকিপূর্ণ! সীমাহীন দুর্ভোগে চার ইউনিয়ন বাসী

আপডেট সময় ০৩:১১:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১

বিশ্বনাথ থেকে আহমদ আলী হিরণঃ সিলেটের বিশ্বনাথে ভেঙে গেছে সড়ক। ভাঙা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।পিচ-খোয়া উঠে স্থানে স্থানে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। সৃষ্টি হওয়া ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে।

দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংস্কারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কোনো উদ্যোগই নিচ্ছেন না। অথচ এ সড়কটি দিয়ে উপজেলাগুলোতে যাতায়াতের বিশ্বনাথ সদর, রামপাশা, দৌলতপুর ও দশঘর) ইউনিয়নবাসীর মানুষ চলাচল করে।
২০০৯ সালের পর সড়কে আর কোন প্রকার সংস্কার কাজ না হওয়ার ফলে ‘নতুন বাজার মাছহাটা-মুফতিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়ক (টিএনটি সড়ক)’ খানাখন্দে ভরপুর হয়ে জনসাধারণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মাত্র ছয়শ মিটার দৈর্ঘ্যরে জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কের এমন বেহাল দশায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছেন উপজেলার প্রায় চার (বিশ্বনাথ সদর, রামপাশা, দৌলতপুর ও দশঘর) ইউনিয়নবাসীকে। সড়কটি বিশ্বনাথ পৌরসভা ও উপজেলা সদরের প্রানকেন্দ্রে থাকার পর কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
বিশ্বনাথ এলজিইডির আওতাধীন নতুন বাজার মাছহাটা-মুফতিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ‘বাসিয়া ও চড়চন্ডি নদী’। আর দুই নদীর তীরে থাকা দীর্ঘদিনের পুরানো গাছগুলো উপড়ে পড়ে জনবহুল সড়কে ভাঙ্গন ও গর্ত হওয়া শুরু হয়। কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় ভাঙ্গন প্রতিরোধ ও গর্ত মেরামতের উদ্যোগ গ্রহন না করার কারণেই দিন দিন তা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সড়কটির দৈর্ঘ্য মাত্র ছয়শ মিটার হলেও বর্তমানে সড়কে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। কোথাও কোথাও এসব গর্তগুলোকে দূর থেকে মিনি পুকুর বলে মনে হয়। কোথাও কোথাও আবার সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। সড়কের করুণ অবস্থা থাকার পরও প্রতিদিন ছোট-বড় প্রায় ৩/৪শত যানবাহন চলাচল করে ওই সড়ক দিয়ে। জীবন-জীবিকার থাগিদে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালাতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন চালকরা। আর ছোট-বড় দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। বর্ষাকালে জনদূর্ভোগ আরো কয়েকগুন বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির বেহালদশা থাকার কারণে মাথায় হাত পড়ছে সড়কের পাশে গড়ে উঠা শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকের।
সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এলাকার মুসল্লী, প্রবীন ব্যক্তি ও রোগীদের দূর্ভোগের সীমানেই। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা কাদাজলে নষ্ট হচ্ছে পথচারীদের কাপড়। এক্ষেত্রে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় মহিলা ও শিশুদের। বেহালদশা থাকার পরও নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ করার জন্যই উপজেলার সদর, রামপাশা, দৌলতপুর ও দশঘর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষকে চরম দূর্ভোগ সহ্য করে সড়ক ব্যবহার করতে হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির সংস্কার কাজ করার জন্য এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবী জানিয়ে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এমনকি একাধিকবার সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের কাছে এলাকাবাসী স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে। সড়কে পাশে থাকা দীর্ঘদিনের পুরানো গাছগুলোর ব্যাপারেও কোন প্রদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় উপর থেকে পুরানো গাছের শুকনো ডাল ভেঙ্গে পড়লে ও সড়কে থাকা গর্তে পড়ে আহত হওয়ার আতংঙ্কে থাকতে হয় এলাকাবাসীকে।
রোডের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির সংস্কার কাজ না হওয়ার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদেরকে পথে দাঁড়াতে হবে। জনদূর্ভোগ কমানোর জন্য দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক মাসুক মিয়া বলেন, জীবিকার তাগিদে আমাদেরকে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। আর সড়কের এমন করুণ অবস্থা থাকার কারণে চরম আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে আমাদেরকে (চালক)।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি মোকাব্বির খান সাংবাদিকদের বলেন, এলাকাবাসী দূর্ভোগ কমিয়ে আনতে বিভিন্ন এলাকার সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জনগুরুত্বের দিক দিয়ে সকল সকল সংস্কার করা হবে। এর পাশাপাশি এলাকার কাঁচা সড়কগুলোও পাকাকরণের আওতায় আনা হবে।