ঢাকা ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে আদর্শিক দাওয়াত অব্যাহত রাখতে হবে- মোহাম্মদ নুরুল আমিন তারেক স্কানথর্প ইউনাইটেডর বিজয়ে ক্লাবের ভাইস চেয়ারম্যান রজিউর রহমান মর্তুজা কে অভিনন্দন। নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের চাচার মৃত্যুতে ক্লাবের শোক প্রকাশ। সমাজের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নর্থ বাংলা প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকে কর্তৃক সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত। ইউনাইটেড রোটস এর আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়।

সিলেটের বিশ্বনাথে সড়কের মাটি ভরাট নিয়ে সংঘর্ষে বন্দুকের গুলিতে স্কুল ছাত্র নিহত

সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওর এলাকায় স্থানীয় সাইফুল আলমের গুলিতে সুমেল মিয়া (১৮) নামের দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। সে উপজেলার চৈতন নগর গ্রামের আব্দুল মানিকের ছেলে ও স্থানীয় শাহজালাল ঘাগুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।বিশ্বনাথ উপজেলার বহুল আলোচিত চাউলধনি হাওর পারে ধানি জমির মাটি কাটায় বাঁধা প্রদান করায় প্রতিপক্ষের বন্দুকের গুলিতে এই যুবক নিহত হয়েছেন।এই রটনায় আরো গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন নিহত সুমেল মিয়ার পিতা মানিক মিয়া (৫১) ও চাচা মনির মিয়া (৫২)।
জানা যায় শনিবার বিকেলে চৈতননগর গ্রামের উত্তরে চাউলধনী হাওরপারে ওই ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় জিজ্ঞাবাদের জন্য চার জনকে আটক করা হলেও মুল হোতা যুক্তরাজ্য প্রবাসী ঘাতক সাইফুল আলম পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শনিবার বিকেলে চৈতননগর গ্রাম থেকে টুকেরবাজার সড়কের সাথে সংযোগ একটি মাটির রাস্তায় মাটি কাটা শুরু করেন একই গ্রামের মৃত আফতাব মিয়ার ছেলে সাইফুল আলম (৪০)। এতে নজির আহমদ (৫৫) এর ধানি জমি থেকে মাটি কেটে রাস্তা ভরাট করেন সাইফুল আলম।
এসময় নিহত ভাতিজা সুমেল মিয়া, চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও মনির মিয়াকে সাথে নিয়ে বাধা দেন নজির মিয়া। এতে উভয় পক্ষের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সাইফুল আলম ক্ষিপ্ত হয়ে নিজ বন্দুক দিয়ে তিন রাউন্ড গুলি চালান। আর ওই গুলিতে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তিন জনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎস্যক সুমেল মিয়াকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আসলাম, থানার ওসি শামীম মূসা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ঘটনার পর থেকে ঘাতক সাইফুল আলম পলাতক রয়েছে।
জানতে চাইলে থানার ওসি মামীম মূসা বলেন, এঘটনায় প্রাথমিক অবস্থায় এই ঘটনার সাথে জড়িত চার জনকে আটক করা হয়েছে তবে মূল ঘাতক সাইফুল আলমকে গ্রেফতারের জন্য এবং তার সাথে থাকা বন্দুকটি উদ্ধারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনায় একজন মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র নিহত হওয়ায় এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে উপজেলার প্রতিটি মানুষের দাবী হত্যাকারীকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তারা।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে আদর্শিক দাওয়াত অব্যাহত রাখতে হবে- মোহাম্মদ নুরুল আমিন তারেক

সিলেটের বিশ্বনাথে সড়কের মাটি ভরাট নিয়ে সংঘর্ষে বন্দুকের গুলিতে স্কুল ছাত্র নিহত

আপডেট সময় ০৭:২৪:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মে ২০২১

সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওর এলাকায় স্থানীয় সাইফুল আলমের গুলিতে সুমেল মিয়া (১৮) নামের দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। সে উপজেলার চৈতন নগর গ্রামের আব্দুল মানিকের ছেলে ও স্থানীয় শাহজালাল ঘাগুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।বিশ্বনাথ উপজেলার বহুল আলোচিত চাউলধনি হাওর পারে ধানি জমির মাটি কাটায় বাঁধা প্রদান করায় প্রতিপক্ষের বন্দুকের গুলিতে এই যুবক নিহত হয়েছেন।এই রটনায় আরো গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন নিহত সুমেল মিয়ার পিতা মানিক মিয়া (৫১) ও চাচা মনির মিয়া (৫২)।
জানা যায় শনিবার বিকেলে চৈতননগর গ্রামের উত্তরে চাউলধনী হাওরপারে ওই ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় জিজ্ঞাবাদের জন্য চার জনকে আটক করা হলেও মুল হোতা যুক্তরাজ্য প্রবাসী ঘাতক সাইফুল আলম পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শনিবার বিকেলে চৈতননগর গ্রাম থেকে টুকেরবাজার সড়কের সাথে সংযোগ একটি মাটির রাস্তায় মাটি কাটা শুরু করেন একই গ্রামের মৃত আফতাব মিয়ার ছেলে সাইফুল আলম (৪০)। এতে নজির আহমদ (৫৫) এর ধানি জমি থেকে মাটি কেটে রাস্তা ভরাট করেন সাইফুল আলম।
এসময় নিহত ভাতিজা সুমেল মিয়া, চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও মনির মিয়াকে সাথে নিয়ে বাধা দেন নজির মিয়া। এতে উভয় পক্ষের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সাইফুল আলম ক্ষিপ্ত হয়ে নিজ বন্দুক দিয়ে তিন রাউন্ড গুলি চালান। আর ওই গুলিতে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তিন জনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎস্যক সুমেল মিয়াকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আসলাম, থানার ওসি শামীম মূসা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ঘটনার পর থেকে ঘাতক সাইফুল আলম পলাতক রয়েছে।
জানতে চাইলে থানার ওসি মামীম মূসা বলেন, এঘটনায় প্রাথমিক অবস্থায় এই ঘটনার সাথে জড়িত চার জনকে আটক করা হয়েছে তবে মূল ঘাতক সাইফুল আলমকে গ্রেফতারের জন্য এবং তার সাথে থাকা বন্দুকটি উদ্ধারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনায় একজন মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র নিহত হওয়ায় এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে উপজেলার প্রতিটি মানুষের দাবী হত্যাকারীকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তারা।