দিন দিন বাতাসে দূষণ বেড়ে যাচ্ছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অ্যালার্জির উৎপাত। আর এরই মাঝে যারা ভুগছেন শ্বাসকষ্ট, বিশেষ কোনো ঘ্রাণের সমস্যায় তাদের চট করেই বলে দেয়া যায় অ্যালার্জির সমস্যার কথা। কিন্তু অ্যালার্জি কি শুধু এই কয়েকটাই? চেনার বাইরে আরও অনেক লক্ষণ আছে যা দেখলে বুঝবেন আপনি ভিন্ন কোনো অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগছেন। চলুন জানি সেগুলোর সম্পর্কে কিছু কথা:
অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বা হে
ফিভার:
মূলত এটি নাকের প্রদাহ। এটি হয় বাতাসে উপস্থিত কোনো অ্যালার্জেনের সঙ্গে যদি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে টক্কর দিতে হয় তবে। এর লক্ষণ হচ্ছে নাক-চোখ দিয়ে পানি পড়া, গলা খুশখুশ করা, ত্বকে র্যাশ হওয়া।
ব্রঙ্কিয়াল অ্যাস্থমা:
এই সমস্যা বুঝবেন যখন প্রায় সময়ই হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে কফ জমবে। এগুলোর কারণে কিন্তু ফুসফুস দ্রুত দুর্বল হয়ে যায়। এমন সমস্যা বুঝলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।
ঘ্রাণে সেনসিটিভিটি:
অনেকের বিশেষ কিছু সুগন্ধির কারণে মাথা ধরার সমস্যা হতে পারে। আর এ থেকে হতে পারে নাকে জ্বালা, ক্লান্তি, দুর্বলতা। এই সমস্যা হলে চড়া সুগন্ধি ব্যবহার করা পরিহার করুন।
অ্যালার্জি আছে খাবারেও:
যদি কোনো বিশেষ খাবারে হজমে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তবে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের ডিম, মাছ, দুধ, চীনেবাদামে অ্যালার্জির সমস্যা থাকে।
ডাস্ট অ্যালার্জি:
এই সমস্যার মূল কারণ ধুলো-ময়লা। এ থেকে হয় হাঁচি, কাশি, শ্বাস-কষ্ট। তাই ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে সব সময়। আর বাইরে গেলে ব্যবহার করতে হবে মাস্ক।
পরাগ রেণুতে অ্যালার্জি:
এই অ্যালার্জির মূল সমস্যা হয় বাতাসে ভেসে থাকা পরাগরেণুতে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা এক্ষেত্রে ফুল এড়িয়ে চলতে পারেন। রাস্তার পাশে বিভিন্ন ঋতুতে নানা ফুল ফোটে। তখন এর সংক্রমণ বেশি হয়। বেশি সমস্যা হলে মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
ওষুধে অ্যালার্জি:
যদি ওষুধে অ্যালার্জি হয় তবে এ ব্যাপারে প্রচুর সাবধানতা মেনে চলতে হবে। ওষুধে যদি র্যাশ বা শ্বাসকষ্ট হয় তবে ক্ষেত্রবিশেষে গ্ল্যান্ডও ফুলে যেতে পারে।
টেক্সটাইল কনট্যাক্ট অ্যালার্জি:
এই সমস্যা হতে পারে সিন্থেটিক পোশাক থেকে। আবার অনেক সময় টেক্সটাইল ডাইয়ের কেমিক্যাল কনটেন্ট এর কারণেও অ্যালার্জি হতে পারে।
অ্যালার্জির কারণ পোষা প্রাণি:
বাড়িতে আপনি যে প্রাণিটি পালছেন তার ত্বকের মৃত কোষ, স্যালাইভা, মূত্র ইত্যাদি থেকেও হতে পারে অ্যালার্জি। যদি এমন সমস্যা বুঝে থাকেন তবে বাড়িতে পোষ্য না রাখাই ভালো।
অ্যালার্জির সমস্যার কারণে আমরা হয়ত চিকিৎসকের কাছে ঠিকই যাচ্ছি, আবার তারা এর জন্য পথ্যও দিচ্ছেন। কিন্তু সেটি সব সময় স্থায়ী সমাধান নাও হতে পারে। অ্যালার্জি কেন এবং কী থেকে হচ্ছে সেটি খুঁজে বের করে তা থেকে দূরে থাকুন। তাহলেই সুস্থতা সহজে মিলবে।