লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতাঃ সমাজ সামাজিকতার চরম অবক্ষয়ের নিদারুণ চিত্র ফুটে উঠেছে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলায়। গত কয়েকদিন আগেও সেখানে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য প্রবাসীর স্ত্রীকে রাতভর আটকে রেখে পৈশাচিক নির্যাতন করে। যা দেশেবিদেশে নিন্দার ঝড় তুলেছিল। সেই নিন্দা ঘৃণা-ধিক্কার মানুষের মন থেকে না মুছতেই গতকাল আরেকটি ন্যক্কারজনক ঘটনা সূত্রপাত হয়।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাস্তার পাশে এক মৃত নবজাতককে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় কুকুরকে টানাহেঁচড়া করতে দেখা গেছে। ওই নবজাতকের মাথা ছাড়া কোনো অংশ দেখা যাচ্ছিল না। কুকুরের কামড়ের কারণে শুধু হাড়গুলো দৃশ্যমান। কে বা কারা শিশুটিকে রেখে গেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার সকালে কুকুরের টানাহেঁচড়া দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। উপজেলার উত্তর চরলরেঞ্চ পূর্ব মুজিবনগর মতিরহাট-তোরাবগঞ্জ সড়কের পাশে ওড়না কম্বল মোড়ানো অবস্থায় নবজাতকের মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থানীয়রা দেখেন একটি কালো ব্যাগ থেকে কম্বল, ওড়না ও লুঙ্গী মোড়ানো নবজাতককে কুকুর টেনেহেঁচড়ে বের করেছে। এটি দেখে স্থানীয়রা কাছে গিয়ে কুকুরকে তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু নবজাতকের শরীরটি ক্ষতবিক্ষত দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, কুকুরের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে নবজাতকের দেহ।
চরলরেন্স ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি ব্যাগ থেকে কুকুর টেনেহেঁচড়ে নবজাতকের দেহটি বের করেছে। দূর থেকে এটি দেখে কাছে এসে কুকুরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরমধ্যেই শিশুটির পুরো দেহ ক্ষতবিক্ষত হয়। ঘটনাটি মর্মান্তিক।
এ বিষয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের এক অফিসারকে পাঠিয়েছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, এটি কোনো নবজাতকের লাশ নয়। এটি ৩-৪ মাসের ভ্রুন। আমরা ডিএনএ আলামত সংগ্রহসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।