ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশের আগামী দিনের জন্য দেশকে নেতৃত্ব দিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তৈরি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন আমারা আর কয়দিন! বয়স ৭৫ বছর হয়ে গেছে! আর চাইলেও বেশি দিন পারবনা কাজেই দেশের আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য তোমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। উপমহাদেশের সর্ব বৃহৎ এই ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে আলোচনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্ বক্তব্য রাখেন। মহামারী মোকাবেলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমরা যে কাজগুলো করে গেছ, তার জন্য সব সময় আমরা সাধুবাদ জানাই। আমি জানি হয়ত ক্ষেত্রবিশেষে কোথাও কোথাও দুই-একটা ঘটনা ঘটে। আর আমাদের কিছু পত্র-পত্রিকা আছে, যতই ভালো কাজ কর, সেটা লেখার তাদের যোগ্যতা নেই। যদি কোথাও এতটুকু খুঁত পায়, সেটিকে বড় করে লিখতে পারে। এটা তাদের মন-মানসিকতার দৈন্যতা বলেই আমি মনে করি। কাজেই ওগুলো আমি বেশি একটা হিসেবে ধরি না। তিনি বলেন, ‘আমি দেখি যে বৃক্ষরোপণ করা, ধান কেটে কৃষককে সহযোগিতা করা বা করোনাভাইরাসের সময়ে আক্রান্ত রোগী এবং যারা মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সাহায্য করা, ঘরে ঘরে খাদ্য পৌছে দেওয়া, যখন ঝড় আসল, সেই ঝড়ের সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, এই যে মানুষের সেবার জন্য যেই কাজগুলো করে যাচ্ছ, সেটাই হচ্ছে বড় কাজ।’
বাংলাদেশের প্রতিটি অর্জনে ছাত্রলীগের অগ্রণী ভূমিকার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ঐতিহ্যের কথা মনে রেখে এই সংগঠনটাকে শক্তিশালী করে তোমরা গড়ে তুলবে। সেটাই আমরা চাই।’
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে, জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
তিনি বলেন, ‘মনে রাখবে, যে আদর্শ নিয়ে গড়ে তুলতে পারবে নিজেকে, সেই কিন্তু সফল হবে। আর যদি অর্থ সম্পদের দিকে নজর চলে যায়, কখনও সফল হতে পারবে না।’
‘কিন্তু তোমাদেরকে সামনের দিনগুলোতে নেতৃত্ব দিতে হবে। সেইভাবে তোমরা নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। রাজনীতির পাশাপাশি লেখাপড়ার প্রতি গুরুত্ব দেয়ার জন্য ও তিনি আহবান জানান।