ডেস্ক রিপোর্টঃ মানব ইতিহাসের একটি ভয়ংকরতম এবং স্বরণীয় বছরের সমাপ্তি হলো। মহাকালের অমোঘ নিয়মে বিদায় নিলো ২০২০ সাল এ যেন এক বিষাক্ত বছরের বিদায়। কিন্তু এই বিদায় আর অন্য কোনো বছরের মতো নয়। বিষাদ ও হারানোর বেদনা নিয়ে শেষ হলো ২০২০।
করোনা মহামারির কারণে বিষাদের বছর হিসেবে ইতিহাসে থেকে যাবে সালটি। তারপরেও নতুন ও ভালোর আশায় ২০২১-কে বরণ করে নিচ্ছে দেশের মানুষ।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে বর্ণীল আলোকসজ্জা ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে ২০২১ বরণ শুরু হয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আতশবাজি ফুটানো হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২১ উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এক বাণীতে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতির নিয়মেই যেমন নতুনের আগমনী বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে, তেমনি অতীত-ভবিষ্যতের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে পুরনো স্মৃতি-সম্ভারে হারিয়ে যাওয়ার চিরায়ত স্বভাব কখনও আনন্দ দেয়, আর কখনোবা কৃতকর্মের শিক্ষা নব-উদ্যোমে সুন্দর আগামীর পথচলার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন আমরা নতুন বছরে প্রতিজ্ঞা করি, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রেখে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করব। নতুন বছর ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে মানুষে-মানুষে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার করুক, সকল সংকট মোকাবিলার শক্তি দান করুক এবং সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এই প্রার্থনা করি।’
পৃথিবীর গোটা মানব জাতীরই প্রত্যাশা শতাব্দীর এই ভয়ংকরতম বছর যেন তাদের জীবনে আর ফিরে না আসে। সবারই প্রত্যাশা আগামী বছর যেন বিশ্বের সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের জন্য একটি শুভবার্তা নিয়ে আসে। শুভ হোক ২০২১।