ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনার এর সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুক্তরাজ্যের নর্থ-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফখরুল হোসাইনের সাথে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকের আত্মপ্রকাশ, সভাপতি ফখরুল হোসাইন সম্পাদক নুরুল আমিন ৪০ কেজি ওজনের হলি রামাদ্বান ফ্যামেলি ফুড প্যাক বিতরণ করল আননিয়ামাহ উইমেন্স এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ en ıyı bahis siteleri’deki En Büyük Yalan

দেশবরেণ্য সাবেক কূটনৈতিক ও রাজনীতিবিদ হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর জন্মদিন আজ।

ডেস্ক নিউজঃ বাংলাদেশের মহান জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার দেশবরেণ্য কূটনৈতিক এবং বৃহত্তর সিলেটের কৃতী সন্তান হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর আজ জন্মদিন। ২০০১ সালের ১০ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।  হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে কূটনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযোদ্ধা কূটনৈতিক হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় নয়া দিল্লীস্থ বাংলাদেশ মিশনের প্রধান হিসেবে ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর ভারতের সংসদ অধিবেশনে ভাষণ দেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ে ৪০টিরও অধিক দেশের সাথে কূটনৈতিক তৎপরতা চালান। স্বাধীনতা পরবর্তীতে তিনি একাধারে রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্রসচিব, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এবং সব শেষে মহান জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর জন্ম ১৯২৮ সালের ১১ নভেম্বর সিলেট শহরের দরগা গেইটস্থ রশিদ মঞ্জিলে। পিতা আব্দুর রশিদ চৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত ভারতের কেন্দ্রীয় বিধান সভার সদস্য এবং মাতা সিরাজুন নেছা চৌধুরী ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য।

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার হাই মাদ্রাসা সেকশনে প্রাথমিক শিক্ষা ও আসামে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে ১৯৪৭ সালে ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ইংলিশ বারে অধ্যয়ন করেন এবং লন্ডনের ইনার টেম্পলের একজন সদস্য হন। লন্ডনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি তিনি অর্জন করেন। এছাড়া ম্যাসাচুসেটসের ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি থেকে স্নাতক ডিগ্রিও অর্জন করেছিলেন তিনি।
১৯৫৩ সালে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী তৎকালীন পাকিস্তানের বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে কর্ম জীবন শুরু করেন।
১৯৭২ সালে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৭৬ সালের পর সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং ভ্যাটিকানেও একই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ এবং জাতিসংঘের শিল্পাঞ্চল উন্নয়ন সংস্থা বা ইউনিডো’র প্রথম স্থায়ী প্রতিনিধি তিনি ছিলেন । ১৯৮৫ সালের ৩ জুলাই তিনি জাতিসংঘের ৪১তম সাধারণ পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালে স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী তার জার্মানীর বাসায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, জামাতা ড. ওয়াজেদ ও দুই নাতি-নাতনিকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তার অনুরোধে জার্মান সরকার তার বাসার সামনে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিলেন। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সিলেট-১ আসন (সদর- কোম্পানীগঞ্জ) থেকে ১৯৮৬ সালে ৩য় সংসদ ১৯৮৮ সালে ৪র্থ সংসদ এবং ১৯৯৬ সালে ৭ম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ১৪ জুলাই তিনি সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন এবং আমৃত্যু তিনি এ পদে বহাল ছিলেন।
২০০১ সালের ১০ জুলাই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। মৃত্যুর পর সিলেট অন্তঃপ্রাণ এই বরেণ্য রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক কে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। দেশ বরেণ্য এই কূটনৈতিক এবং রাজনীতিবিদ সিলেট সহ বাংলাদেশের উন্নয়নে তিনি বিরাট ভূমিকা রেখেছেন।

ট্যাগস

স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়।

দেশবরেণ্য সাবেক কূটনৈতিক ও রাজনীতিবিদ হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর জন্মদিন আজ।

আপডেট সময় ০৬:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০

ডেস্ক নিউজঃ বাংলাদেশের মহান জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার দেশবরেণ্য কূটনৈতিক এবং বৃহত্তর সিলেটের কৃতী সন্তান হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর আজ জন্মদিন। ২০০১ সালের ১০ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।  হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে কূটনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযোদ্ধা কূটনৈতিক হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় নয়া দিল্লীস্থ বাংলাদেশ মিশনের প্রধান হিসেবে ১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর ভারতের সংসদ অধিবেশনে ভাষণ দেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ে ৪০টিরও অধিক দেশের সাথে কূটনৈতিক তৎপরতা চালান। স্বাধীনতা পরবর্তীতে তিনি একাধারে রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্রসচিব, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এবং সব শেষে মহান জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর জন্ম ১৯২৮ সালের ১১ নভেম্বর সিলেট শহরের দরগা গেইটস্থ রশিদ মঞ্জিলে। পিতা আব্দুর রশিদ চৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত ভারতের কেন্দ্রীয় বিধান সভার সদস্য এবং মাতা সিরাজুন নেছা চৌধুরী ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য।

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার হাই মাদ্রাসা সেকশনে প্রাথমিক শিক্ষা ও আসামে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে ১৯৪৭ সালে ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ইংলিশ বারে অধ্যয়ন করেন এবং লন্ডনের ইনার টেম্পলের একজন সদস্য হন। লন্ডনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি তিনি অর্জন করেন। এছাড়া ম্যাসাচুসেটসের ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি থেকে স্নাতক ডিগ্রিও অর্জন করেছিলেন তিনি।
১৯৫৩ সালে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী তৎকালীন পাকিস্তানের বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে কর্ম জীবন শুরু করেন।
১৯৭২ সালে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৭৬ সালের পর সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং ভ্যাটিকানেও একই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ এবং জাতিসংঘের শিল্পাঞ্চল উন্নয়ন সংস্থা বা ইউনিডো’র প্রথম স্থায়ী প্রতিনিধি তিনি ছিলেন । ১৯৮৫ সালের ৩ জুলাই তিনি জাতিসংঘের ৪১তম সাধারণ পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালে স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী তার জার্মানীর বাসায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, জামাতা ড. ওয়াজেদ ও দুই নাতি-নাতনিকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তার অনুরোধে জার্মান সরকার তার বাসার সামনে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিলেন। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সিলেট-১ আসন (সদর- কোম্পানীগঞ্জ) থেকে ১৯৮৬ সালে ৩য় সংসদ ১৯৮৮ সালে ৪র্থ সংসদ এবং ১৯৯৬ সালে ৭ম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ১৪ জুলাই তিনি সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন এবং আমৃত্যু তিনি এ পদে বহাল ছিলেন।
২০০১ সালের ১০ জুলাই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। মৃত্যুর পর সিলেট অন্তঃপ্রাণ এই বরেণ্য রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক কে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। দেশ বরেণ্য এই কূটনৈতিক এবং রাজনীতিবিদ সিলেট সহ বাংলাদেশের উন্নয়নে তিনি বিরাট ভূমিকা রেখেছেন।