ঢাকা ০৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ৮ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনার এর সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুক্তরাজ্যের নর্থ-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফখরুল হোসাইনের সাথে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকের আত্মপ্রকাশ, সভাপতি ফখরুল হোসাইন সম্পাদক নুরুল আমিন ৪০ কেজি ওজনের হলি রামাদ্বান ফ্যামেলি ফুড প্যাক বিতরণ করল আননিয়ামাহ উইমেন্স এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ en ıyı bahis siteleri’deki En Büyük Yalan

এসাইনমেন্টের নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন টাকা, সর্বস্বান্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক!

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ করোনা দুর্যোগকালীন সময়েও থেমে নেই লক্ষ্মীপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়। মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফি ও অ্যাসাইনমেন্ট বাবদ বিভিন্ন উপায়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের ও তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে।
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ রায়পুর রামগতি-কমলনগর সদর উপজেলাসহ নবগঠিত চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন কিছু সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফি ও এসাইনমেন্ট বাবদ অর্থ হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। মাসিক বেতন ১১৯০ টাকা, পরীক্ষার ফি ও এসাইনমেন্টের নামে ৯৫০ টাকা করে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে।
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৮’শ থেকে ৯’শ শিক্ষার্থী থাকলেও বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রী দরিদ্র পরিবারের। দিনমুজুর, কৃষক ও রিক্সাচালকের সন্তানদের কাছ থেকেও টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
সদর উপজেলার রসুলগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, পৌর শহরের লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয়, লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যানিকেতন, রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর চরবংশী জয়নালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, চর লক্ষ্মী জনতা উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ চরবংশি এলকেএইচ উপকূলীয় উচ্চ বিদ্যালয়, চরবামনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, রামগঞ্জ উপজেলার শাহজকি উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র একই রকম দেখা গেছে।
রাখালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃণাল কাম্তি দেবনাথ ও এলকেএইচ উপকূলীয় উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন-‘এটা উপর থেকে নির্দেশ আছে নেয়ার জন্য, তাই নিয়েছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন-‘শিক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, দৈনিক শিক্ষার ফেসবুকে দেখে টাকা নিয়েছি।’ ফেসবুকে এই নির্দেশনা কে দিয়েছে জানতে চাইলে মৃনাল কান্তি দেবনাথ বলেন-‘এটা শিক্ষামন্ত্রীর প্রজ্ঞাপন ছিল। আমাদের শিক্ষকদের বেতন দেয়ার জন্য আমরা​ টিউশনি ফি, অনলাইন ক্লাসের টাকা নিয়েছি।’
মিজানুর রহমান বলেন-‘আমার অফিসে আসেন সামনাসামনি কথা বলি, ভাইজান। এক জবাবে তিনি আরো বলেন-টাকা নেয়ার বিষয়ে আমার কাছে প্রজ্ঞাপনের চিঠি আছে। অফিসে আসলে সব দেখাতে পারব।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফি ও এসাইনমেন্টের নামে টাকা নেয়ার বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল মতিন বলেন-‘টাকা নেয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্টভাবে কোন প্রজ্ঞাপন বা চিঠি আসেনি, তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে টাকা না নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। যদি তারা টাকা নিয়ে থাকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লার চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ আব্দুস সালাম মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে সাথে আলাপকালে জানান- করোনার এই দুর্যোগকালীন সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবুও যদি কেউ বেতন ও পরীক্ষার ফি বা অ্যাসাইনমেন্টের নামে টাকা নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আলাপকালে তিনি আরো জানান-‘জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে ইতোমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা না নেয়ার জন্য। তবুও আমি যখন জানতে পেরেছি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে সরকারি আদেশ, গেজেট, বিজ্ঞপ্তি এবং পরিপত্র সূত্রে জানা যায় গত ৬ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে টিউশন ফি​ গ্রহণ না করা প্রসঙ্গে প্রজ্ঞাপন জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। যার স্বারক নং- ৩৭.০২.১০০০.০০০.১১.৯৯.২০/৬৪৮(২)। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসাইনমেন্ট চলাকালীন পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কোনো অর্থ বা ফি শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে গ্রহণ না করার বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
ট্যাগস

স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়।

এসাইনমেন্টের নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন টাকা, সর্বস্বান্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক!

আপডেট সময় ০৬:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ করোনা দুর্যোগকালীন সময়েও থেমে নেই লক্ষ্মীপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়। মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফি ও অ্যাসাইনমেন্ট বাবদ বিভিন্ন উপায়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের ও তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে।
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ রায়পুর রামগতি-কমলনগর সদর উপজেলাসহ নবগঠিত চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন কিছু সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফি ও এসাইনমেন্ট বাবদ অর্থ হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। মাসিক বেতন ১১৯০ টাকা, পরীক্ষার ফি ও এসাইনমেন্টের নামে ৯৫০ টাকা করে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে।
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৮’শ থেকে ৯’শ শিক্ষার্থী থাকলেও বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রী দরিদ্র পরিবারের। দিনমুজুর, কৃষক ও রিক্সাচালকের সন্তানদের কাছ থেকেও টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
সদর উপজেলার রসুলগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, পৌর শহরের লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয়, লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যানিকেতন, রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর চরবংশী জয়নালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, চর লক্ষ্মী জনতা উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ চরবংশি এলকেএইচ উপকূলীয় উচ্চ বিদ্যালয়, চরবামনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, রামগঞ্জ উপজেলার শাহজকি উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র একই রকম দেখা গেছে।
রাখালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃণাল কাম্তি দেবনাথ ও এলকেএইচ উপকূলীয় উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন-‘এটা উপর থেকে নির্দেশ আছে নেয়ার জন্য, তাই নিয়েছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন-‘শিক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, দৈনিক শিক্ষার ফেসবুকে দেখে টাকা নিয়েছি।’ ফেসবুকে এই নির্দেশনা কে দিয়েছে জানতে চাইলে মৃনাল কান্তি দেবনাথ বলেন-‘এটা শিক্ষামন্ত্রীর প্রজ্ঞাপন ছিল। আমাদের শিক্ষকদের বেতন দেয়ার জন্য আমরা​ টিউশনি ফি, অনলাইন ক্লাসের টাকা নিয়েছি।’
মিজানুর রহমান বলেন-‘আমার অফিসে আসেন সামনাসামনি কথা বলি, ভাইজান। এক জবাবে তিনি আরো বলেন-টাকা নেয়ার বিষয়ে আমার কাছে প্রজ্ঞাপনের চিঠি আছে। অফিসে আসলে সব দেখাতে পারব।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন, পরীক্ষার ফি ও এসাইনমেন্টের নামে টাকা নেয়ার বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল মতিন বলেন-‘টাকা নেয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্টভাবে কোন প্রজ্ঞাপন বা চিঠি আসেনি, তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে টাকা না নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। যদি তারা টাকা নিয়ে থাকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লার চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ আব্দুস সালাম মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে সাথে আলাপকালে জানান- করোনার এই দুর্যোগকালীন সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবুও যদি কেউ বেতন ও পরীক্ষার ফি বা অ্যাসাইনমেন্টের নামে টাকা নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আলাপকালে তিনি আরো জানান-‘জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে ইতোমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা না নেয়ার জন্য। তবুও আমি যখন জানতে পেরেছি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে সরকারি আদেশ, গেজেট, বিজ্ঞপ্তি এবং পরিপত্র সূত্রে জানা যায় গত ৬ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে টিউশন ফি​ গ্রহণ না করা প্রসঙ্গে প্রজ্ঞাপন জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। যার স্বারক নং- ৩৭.০২.১০০০.০০০.১১.৯৯.২০/৬৪৮(২)। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসাইনমেন্ট চলাকালীন পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কোনো অর্থ বা ফি শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে গ্রহণ না করার বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।