ঢাকা ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনার এর সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুক্তরাজ্যের নর্থ-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফখরুল হোসাইনের সাথে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকের আত্মপ্রকাশ, সভাপতি ফখরুল হোসাইন সম্পাদক নুরুল আমিন ৪০ কেজি ওজনের হলি রামাদ্বান ফ্যামেলি ফুড প্যাক বিতরণ করল আননিয়ামাহ উইমেন্স এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের হয়রানি! পাসপোর্ট অফিসে দালাল ছাড়া পাসপোর্ট হয়না!

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ  বৈশ্বিক মহাদুর্যোগ করোনাকালীন সময়েও থেমে নেই লক্ষীপুরের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনিয়ম ও দুর্নীতি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে -দালাল ছাড়া কোনভাবেই ব্যক্তি উদ্যোগে পাসপোর্ট করা যায়য় না। অসম্পূর্ণ তথ্য, ফরম কাটাছেঁড়া, হাতের লেখা ভালো নাসহ নানা খুঁত দেখিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে আসা পাসপোর্ট গ্রহীতাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এতে করে হয়রানি হচ্ছে পাসপোর্ট কাঙ্খীরা। বৈদেশিক রেমিটেন্স যোদ্ধাদের পাসপোর্ট রিনিউতেও পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ। দিনের-পর-দিন ধর্ণা দিয়েও কাজ হচ্ছে না এইসব রেমিটেন্স যোদ্ধাদের। সকালে এসে সারাদিন অপেক্ষা করে সন্ধ্যায় ফিরতে হয় শুকনো মুখে।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস লক্ষ্মীপুরের নৈশ প্রহরী থেকে আনসার পর্যন্ত পাসপোর্ট দালালীতে সক্রিয়। জানা গেছে উপসহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম নিজেই টাকা ছাড়া আবেদন ফরম সাক্ষর করেন না। যেসব দালালের কাছ থেকে এই কর্মকর্তা উপঢৌকন গ্রহণ করেন, সেসব দালালের মাধ্যমে আসা আবেদন ফরমে গোপন সংকেত দেয়া থাকে। সেগুলোতে তিনি নির্দ্বিধায় স্বাক্ষর করেন।
দালাল বেষ্টিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস লক্ষ্মীপুর। উপসহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম যেসব দালালের আবেদন ফরম নির্দ্বিধায় স্বাক্ষর করেন তারা হলেন- পাসপোর্ট অফিসের পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাবুল, আনসার সদস্যদের মধ্যে পি সি জসিম ও সাইফুল। রায়পুরের দালালদের মধ্যে হিমাংশু, সোহেল, কালা অহিদ। রামগঞ্জের দালালদের মধ্যে সাইফুল, রাব্বানী, বিল্লাল, গৌতম, মোহাম্মদ।কমলনগরের দালাল অনিমেষ ও আজাদ। চন্দ্রগঞ্জের দালাল ফয়েজ। মান্দারীর দালাল হারুন। দিঘলির দালাল আনোয়ার। লক্ষ্মীপুর সদরের দালাল কাশেম, আরিফ, আবদুল খালেক।
এরা বিভিন্ন স্থান থেকে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের সংগ্রহ করে নির্ধারিত ফি’র চেয়ে দুইগুণ তিনগুণ বেশি টাকা হাতিয়ে নেয়। পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা ঝামেলামুক্ত নির্দ্বিধায় সহজে পাসপোর্ট পাওয়ার আশায় দালালের খপ্পরে পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দালাল বলেন -‘আমরা বিভিন্ন রেটে পাসপোর্ট করি। এতে নির্ধারিত ফি’র বাহিরেও টাকা নিতে হয় গ্রাহকের কাছ থেকে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন -‘সাড়ে ৫ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৯ হাজার, ১০ হাজার​ সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিই। গ্রাহক দ্রুত চাইলে আমরাও খরচ সেভাবে নিই।
পাসপোর্ট প্রত্যাশী মহাদেবপুর থেকে আসা মোঃ শাহীন বলেন -‘৯ মাস আগে আমি পাসপোর্ট আবেদন জমা দিয়েছি এখনো পাইনি। এর মাঝে বহুবার অফিসে গেছি, কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি।’
আরেক পাসপোর্ট প্রত্যাশী সিএনজি চালক আবুল হোসেন বলেন-‘ আমার ছেলের জন্য ১৫ হাজার টাকায় আনসার সাইফুল ইসলামকে দিয়ে পাসপোর্ট করেছি এই করোনার ভেতরে।’
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস লক্ষ্মীপুরের উপসহকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন -‘আমি ও আমার অফিস দালালমুক্ত, আমার অফিসে দালালের প্রবেশ কড়াকড়ি ভাবে নিষিদ্ধ।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন- ‘অফিসে কোন টাকা পয়সা লেনদেন হয় না। এটা আমি বিলবোর্ড আকারে তৈরি করে ঝুলিয়ে রেখেছি।’
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম।

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের হয়রানি! পাসপোর্ট অফিসে দালাল ছাড়া পাসপোর্ট হয়না!

আপডেট সময় ০৩:১৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ  বৈশ্বিক মহাদুর্যোগ করোনাকালীন সময়েও থেমে নেই লক্ষীপুরের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনিয়ম ও দুর্নীতি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে -দালাল ছাড়া কোনভাবেই ব্যক্তি উদ্যোগে পাসপোর্ট করা যায়য় না। অসম্পূর্ণ তথ্য, ফরম কাটাছেঁড়া, হাতের লেখা ভালো নাসহ নানা খুঁত দেখিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে আসা পাসপোর্ট গ্রহীতাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এতে করে হয়রানি হচ্ছে পাসপোর্ট কাঙ্খীরা। বৈদেশিক রেমিটেন্স যোদ্ধাদের পাসপোর্ট রিনিউতেও পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ। দিনের-পর-দিন ধর্ণা দিয়েও কাজ হচ্ছে না এইসব রেমিটেন্স যোদ্ধাদের। সকালে এসে সারাদিন অপেক্ষা করে সন্ধ্যায় ফিরতে হয় শুকনো মুখে।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস লক্ষ্মীপুরের নৈশ প্রহরী থেকে আনসার পর্যন্ত পাসপোর্ট দালালীতে সক্রিয়। জানা গেছে উপসহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম নিজেই টাকা ছাড়া আবেদন ফরম সাক্ষর করেন না। যেসব দালালের কাছ থেকে এই কর্মকর্তা উপঢৌকন গ্রহণ করেন, সেসব দালালের মাধ্যমে আসা আবেদন ফরমে গোপন সংকেত দেয়া থাকে। সেগুলোতে তিনি নির্দ্বিধায় স্বাক্ষর করেন।
দালাল বেষ্টিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস লক্ষ্মীপুর। উপসহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম যেসব দালালের আবেদন ফরম নির্দ্বিধায় স্বাক্ষর করেন তারা হলেন- পাসপোর্ট অফিসের পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাবুল, আনসার সদস্যদের মধ্যে পি সি জসিম ও সাইফুল। রায়পুরের দালালদের মধ্যে হিমাংশু, সোহেল, কালা অহিদ। রামগঞ্জের দালালদের মধ্যে সাইফুল, রাব্বানী, বিল্লাল, গৌতম, মোহাম্মদ।কমলনগরের দালাল অনিমেষ ও আজাদ। চন্দ্রগঞ্জের দালাল ফয়েজ। মান্দারীর দালাল হারুন। দিঘলির দালাল আনোয়ার। লক্ষ্মীপুর সদরের দালাল কাশেম, আরিফ, আবদুল খালেক।
এরা বিভিন্ন স্থান থেকে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের সংগ্রহ করে নির্ধারিত ফি’র চেয়ে দুইগুণ তিনগুণ বেশি টাকা হাতিয়ে নেয়। পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা ঝামেলামুক্ত নির্দ্বিধায় সহজে পাসপোর্ট পাওয়ার আশায় দালালের খপ্পরে পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দালাল বলেন -‘আমরা বিভিন্ন রেটে পাসপোর্ট করি। এতে নির্ধারিত ফি’র বাহিরেও টাকা নিতে হয় গ্রাহকের কাছ থেকে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন -‘সাড়ে ৫ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৯ হাজার, ১০ হাজার​ সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিই। গ্রাহক দ্রুত চাইলে আমরাও খরচ সেভাবে নিই।
পাসপোর্ট প্রত্যাশী মহাদেবপুর থেকে আসা মোঃ শাহীন বলেন -‘৯ মাস আগে আমি পাসপোর্ট আবেদন জমা দিয়েছি এখনো পাইনি। এর মাঝে বহুবার অফিসে গেছি, কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি।’
আরেক পাসপোর্ট প্রত্যাশী সিএনজি চালক আবুল হোসেন বলেন-‘ আমার ছেলের জন্য ১৫ হাজার টাকায় আনসার সাইফুল ইসলামকে দিয়ে পাসপোর্ট করেছি এই করোনার ভেতরে।’
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস লক্ষ্মীপুরের উপসহকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন -‘আমি ও আমার অফিস দালালমুক্ত, আমার অফিসে দালালের প্রবেশ কড়াকড়ি ভাবে নিষিদ্ধ।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন- ‘অফিসে কোন টাকা পয়সা লেনদেন হয় না। এটা আমি বিলবোর্ড আকারে তৈরি করে ঝুলিয়ে রেখেছি।’