লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে বখাটে ও তার লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর সদরের চর রমণীমোহন ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গারপুল নামক স্থানে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ফার্নিচার মিস্ত্রী আবুল হোসেন গাজীর কিশোরী কন্যা(১৫)কে ৩ নং ওয়ার্ডের গাজী বাড়ির মালিক গাজীর বখাটে ছেলে রিয়াজ গাজি(২০) দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিশোরী মেয়েটির পরিবার বেড়িরপাশে থাকায় বেড়ির উপর দাঁড়িয়ে বখাটে রিয়াজ হোসেন রাত-বিরাতে অশ্লীল ভাষা ও কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করে আসছিল। এই নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াকুব সরকার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একাধিক সালিশ বৈঠক হয়েছে তথাপিও মালেক গাজীর বখাটে ছেলে কিশোরীটিকে তুলে নেয়ার লাগাতার হুমকি, ঘরে ঢিল মারা ও অর্ধউলঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে।
শনিবার দুপুরের পরে কিশোরী মেয়েটিকে একা ঘরে পেয়ে বখাটে রিয়াজ হোসেন ওড়না দিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় মেয়েটির আত্মচিৎকারে তার মা শিল্পী আক্তার এগিয়ে এলে বখাটে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
শিল্পী আক্তার বখাটে রিয়াজের মায়ের কাছে ঘটনাটি জানাতে গেলে বখাটে রিয়াজের বাবা মালেক গাজী(৫৫), এরশাদ (২৩) ও স্থানীয় জাহাঙ্গীর সর্দারের ছেলে মিলন(২২) সহ শিল্পী আক্তারের উপর হামলে পড়ে। খবর পেয়ে শিল্পী আক্তারের বৃদ্ধ বাবা হোসেন খালাসী (৬০) ও মা দেলোয়ারা বেগম (৫৫)এগিয়ে এলে তাদেরকেও বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ধর্ষণ চেষ্টা ও মারধরের বিষয়ে মালেক গাজীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এনিয়ে আহত শিল্পী আক্তারের স্বামী মোঃ আবুল হোসেন গাজী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এই বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন -‘অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’