ঢাকা ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্কানথর্প ইউনাইটেডর বিজয়ে ক্লাবের ভাইস চেয়ারম্যান রজিউর রহমান মর্তুজা কে অভিনন্দন। নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের চাচার মৃত্যুতে ক্লাবের শোক প্রকাশ। সমাজের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নর্থ বাংলা প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকে কর্তৃক সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত। ইউনাইটেড রোটস এর আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনার এর সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে সাক্ষাৎ

পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিত কিশোরীর মৃত সন্তান প্রসব!

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ  পুলিশ হেফাজতে কিশোরীর মৃত সন্তান প্রসব হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষীপুরের কমলনগর থানা অভ্যন্তরে।থানায় কিশোরী সন্তান প্রসব নিয়ে ‘টক অব দ্য লক্ষ্মীপুর’ পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের শহীদের বাপের বাড়ির মো: ইসমাইল হোসেনের কিশোরী কন্যা (১৫) একই এলাকার মৃত আবদুর রহিমের ছেলে আবুল কালাম (৫৮),হাসান মিস্ত্রি বাড়ির মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে মো: হাসান মিস্ত্রি (৪৯), এবং অজ্ঞাত শাকিল(২০), ও রিয়াজ (২৮) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপায়ে ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে কয়েকদফা সালিশ বৈঠকে বসা হয়। কিন্তু কোন সমাধান করতে পারেনি কেউ-ই।
কিশোরী মেয়েটির মা আলেয়া বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার কমলনগর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার নং​ জিআর ৮১/২০, স্বারক নং ২৪৮৪, তাং ১০.০৯.২০২০। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে কমলনগর থানা পুলিশ প্রধান আসামি ধর্ষক আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
এদিকে বৃহস্পতিবার কিশোরীর প্রসববেদনা উঠলে কমলনগর থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়া হলে সেখানে মৃত বাচ্চা প্রসব করে। ভিকটিম কিশোরী সদর হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ফ্লোরে শুয়ে এ প্রতিবেদকের কাছে বলেন- ‘কমলনগর থানা পুলিশ তাকে ব্যথার ওষুধ খাইয়েছে, এর কিছুক্ষণ পরে তার মৃত বাচ্চা প্রসব হয়।’ যদিও কিশোরী মেয়ের মা আলেয়া বেগমের মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে কিশোরী মেয়েটি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা গেছে ভিকটিম কিশোরীর সাথে তার বড় বোন নাহারের স্বামী মো: মুনতাছির বিল্লাহ’র সাথেও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়েছিল। সে মামলার এজাহারকৃত ৪ নং সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।
এদিকে কিশোরীর প্রসব বেদনা উঠার পরেও থানা-পুলিশ কেন মেয়েটিকে অদূরে থাকা কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে প্রেরণ করেননি, কেনো ধরনী এনে থানায় বাচ্চা প্রসব করানো হলো? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে!
এই নিয়ে কমলনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুহাম্মদ নূরুল আবছার বলেন -‘কিশোরী মেয়ে একটি মৃত বেবি প্রসব করে। এই নিয়ে মামলা হয়। মামলাটি তদন্তাদিন রয়েছে। আবুল কালাম নামের প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’ কমলনগর থানার অভ্যন্তরে কেন কিশোরী মেয়েটি সন্তান প্রসব করবে? এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কানথর্প ইউনাইটেডর বিজয়ে ক্লাবের ভাইস চেয়ারম্যান রজিউর রহমান মর্তুজা কে অভিনন্দন।

পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিত কিশোরীর মৃত সন্তান প্রসব!

আপডেট সময় ০৮:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ  পুলিশ হেফাজতে কিশোরীর মৃত সন্তান প্রসব হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষীপুরের কমলনগর থানা অভ্যন্তরে।থানায় কিশোরী সন্তান প্রসব নিয়ে ‘টক অব দ্য লক্ষ্মীপুর’ পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের শহীদের বাপের বাড়ির মো: ইসমাইল হোসেনের কিশোরী কন্যা (১৫) একই এলাকার মৃত আবদুর রহিমের ছেলে আবুল কালাম (৫৮),হাসান মিস্ত্রি বাড়ির মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে মো: হাসান মিস্ত্রি (৪৯), এবং অজ্ঞাত শাকিল(২০), ও রিয়াজ (২৮) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপায়ে ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে কয়েকদফা সালিশ বৈঠকে বসা হয়। কিন্তু কোন সমাধান করতে পারেনি কেউ-ই।
কিশোরী মেয়েটির মা আলেয়া বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার কমলনগর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার নং​ জিআর ৮১/২০, স্বারক নং ২৪৮৪, তাং ১০.০৯.২০২০। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে কমলনগর থানা পুলিশ প্রধান আসামি ধর্ষক আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
এদিকে বৃহস্পতিবার কিশোরীর প্রসববেদনা উঠলে কমলনগর থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়া হলে সেখানে মৃত বাচ্চা প্রসব করে। ভিকটিম কিশোরী সদর হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ফ্লোরে শুয়ে এ প্রতিবেদকের কাছে বলেন- ‘কমলনগর থানা পুলিশ তাকে ব্যথার ওষুধ খাইয়েছে, এর কিছুক্ষণ পরে তার মৃত বাচ্চা প্রসব হয়।’ যদিও কিশোরী মেয়ের মা আলেয়া বেগমের মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে কিশোরী মেয়েটি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা গেছে ভিকটিম কিশোরীর সাথে তার বড় বোন নাহারের স্বামী মো: মুনতাছির বিল্লাহ’র সাথেও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়েছিল। সে মামলার এজাহারকৃত ৪ নং সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।
এদিকে কিশোরীর প্রসব বেদনা উঠার পরেও থানা-পুলিশ কেন মেয়েটিকে অদূরে থাকা কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে প্রেরণ করেননি, কেনো ধরনী এনে থানায় বাচ্চা প্রসব করানো হলো? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে!
এই নিয়ে কমলনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুহাম্মদ নূরুল আবছার বলেন -‘কিশোরী মেয়ে একটি মৃত বেবি প্রসব করে। এই নিয়ে মামলা হয়। মামলাটি তদন্তাদিন রয়েছে। আবুল কালাম নামের প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’ কমলনগর থানার অভ্যন্তরে কেন কিশোরী মেয়েটি সন্তান প্রসব করবে? এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান।