ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনার এর সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুক্তরাজ্যের নর্থ-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফখরুল হোসাইনের সাথে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকের আত্মপ্রকাশ, সভাপতি ফখরুল হোসাইন সম্পাদক নুরুল আমিন ৪০ কেজি ওজনের হলি রামাদ্বান ফ্যামেলি ফুড প্যাক বিতরণ করল আননিয়ামাহ উইমেন্স এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ

ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিশ্বনাথে আ’লীগ নেতার সম্পত্তি দখলের পায়তারা করছে একটি কুচক্রী মহল।

বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ পাসপোর্ট জালিয়াতি ও ভূয়া কাগজপত্র (ডকুমেন্ট) তৈরীর মাধ্যমে স্ত্রী-সন্তানদেরকে নিজ বসতবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়ার পৈত্রিক ও খরিদা সম্পত্তি দখলের পায়তারা এবং হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে মরহুম মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়ার স্ত্রী কলছুমা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং বিশ্বনাথ সিআর ১৫৪/২০২০ ইং। মামলার অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের আলমনগর গ্রামের মৃত ইসকন্দর আলীর পুত্র মকরম আলী উরফে গেদা মিয়া, মকরম আলী উরফে গেদা মিয়ার স্ত্রী ছানোয়ারা বেগম, পালোগাউ গ্রামের মৃত আপ্তাব আলীর পুত্র শানুর মিয়া, মুছেধর গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার পুত্র জিয়াউর রহমান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কাঠাদি গ্রামের আবদুল করিমের পুত্র আবদুল কাইয়ুম, মনু মিয়ার পুত্র জাহিদ খান।
মামলার লিখিত অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, ১৯৮৯ সালের ২৮ মার্চ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়ন আলমনগর গ্রামের মরহুম হাজী মোঃ সিকন্দর আলীর পুত্র মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর বাদীর স্বামী ও উপজেলার অলংকারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে বাদী সন্তানদের নিয়ে স্বামীর তৈরী পাকা দালান গৃহে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি মামলার অভিযুক্ত শানুর মিয়া বাদীর বসত গৃহে তার (শানুর) মামা ও মামলার ১নং অভিযুক্ত মকরম উরফে গেদা মিয়ার স্বত্ব আছে মর্মে দাবী করে বাদীকে বাদীর বসত গৃহ ছাড়িয়া অন্যত্র চলিয়া যাওয়ার কথা বলে। অভিযুক্ত শানুর মিয়ার এদাবী অস্বীকার করে এর তীব্র প্রতিবাদ করেন বাদী কলছুমা বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত শানুর মিয়া বাদীর ছেলে-মেয়েকে দেখে নেবে মর্মে হুমকি দেয়। এরপর গত ১৭ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে মামলার অভিযুক্ত শানুর মিয়া, জিয়াউর রহমান, আবদুল কাইয়ুম, জাহিদ খান ছুরি-চাকু হাতে নিয়ে বাদীর বসত বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে বাদী ও বাদীর পালক পুত্র মোহাম্মদ আলীকে খুন-খারাবির হুমকি দিয়ে বাদীর বসত বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বলে। বাদীর হাক-চিৎকার শুনে বাদীর ভাগিনা জাবির হোসেনসহ আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এসময় জাবির হোসেনকে ‘লাশ করার’ ও বাদীর বসত বাড়ি দখল করে নেবে বলে হুমকি দেয় অভিযুক্ত শানুর মিয়াসহ অন্যান্যরা চলে যায়। লিখিত অভিযোগে বাদী আরো উল্লেখ করেছেন, হুমকি দিয়ে অভিযুক্ত শানুর মিয়া, জিয়াউর রহমান, আবদুল কাইয়ুম, জাহিদ খান বাদীর বসত বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর লোকমুখে ও স্বাক্ষীদের মাধ্যমে বাদী কলছুমা বেগম জানতে পারেন মামলার প্রধান অভিযুক্ত মৃত ইসকন্দর আলীর পুত্র মকরম আলী উরফে গেদা মিয়া বাদীর স্বামী মৃত মকদ্দস আলী, পিতা সিকন্দর আলীর নাম ধারণ করিয়া প্রতারণার মাধ্যমে পাসপোর্ট, জন্ম সনদসহ ডকুমেন্ট তৈরী করে সে নিজে মকদ্দস আলী সাজিয়া যুক্তরাজ্যে গেছে এবং মকদ্দস আলীর স্ত্রী হিসেবে মামলার ২নং অভিযুক্ত ছানোয়ারা বেগমকেও জালিয়াতির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যায় প্রধান অভিযুক্ত মকরম আলী উরফে গেদা মিয়া। আর মৃত ইসকন্দর আলীর পুত্র মকরম আলী উরফে গেদা মিয়া জালিয়াতির মাধ্যমে মকদ্দস আলী উরফে মকন মিয়ার নামে পাসপোর্টসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট তৈরী করার ফলে বর্তমানে বাদী ও বাদীর পিতৃহারা সন্তানদেরকে তাদের পৈত্রিক বিটা ছাড়া করার জন্য ৩-৬নং অভিযুক্তদের দিয়ে বসত-বাড়ি দখল ও হত্যা করার হুমকি দিয়েছে। বাদীর স্বামী মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়া তার জীবদ্দশায় দ্বিতীয় বিয়ে করেননি, ফলে বাদীই ছিলেন একমাত্র স্ত্রী। আর প্রধান অভিযুক্ত মৃত ইসকন্দর আলীর পুত্র মকরম আলী উরফে গেদা মিয়া জালিয়াতির মাধ্যমে মকদ্দস আলী সেজে ২নং অভিযুক্ত ছানোয়ারা বেগমকে বিয়ে করে নিজের আসল পরিচয় গোপন করেছে। তাই নিরপেক্ষ তদন্ত হলে প্রমানিত হবে যে প্রধান অভিযুক্ত মকরম আলী উরফে গেদা মিয়া কোন অবস্থায় আমার স্বামী মৃত মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়া নন। আর সে মৃত মরহুম হাজী মোঃ সিকন্দর আলীর পুত্র নন, বাস্তবে সে মৃত ইসকন্দর আলীর পুত্র। জালিয়াতি, প্রতারণা ও সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আমার স্বামীর নাম ধারণ করে তার (মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়া) সম্পত্তি দখলের পায়তারা করছে।
এদিকে, মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়ার বসত-ঘরের জায়গা দখল ও স্ত্রী-সন্তানসহ আমমোক্তারকে হত্যা করার হুমকির অভিযোগে গত ২০ আগস্ট সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে এবং প্রবাসীর স্ত্রীর বসবাসরত ভূমি যাহাতে বেদখল ও উক্ত সম্পত্তি থেকে তাহাকে যাতে বিতাড়িত না করতে পারে তজ্জন্য ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারি করার লক্ষ্যে গত ১৮ আগস্ট সিলেটে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরো দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছেন মরহুম মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়ার স্ত্রী কলছুমা বেগমের ভাগ্না জাবির হোসেন। মামলা নম্বর গুলো হলো যথাক্রমে বিশ্বনাথ বিবিধ মোকদ্দমা নং ১৯/২০২০ইং এবং বিশ্বনাথ সিআর মোকদ্দমা নং ১৪৯/২০২০ইং।
নিজেদের উপর উত্তাপিত সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত দাবী করে মামলার ১নং অভিযুক্ত মকরম আলী উরফে গেদা মিয়ার ভাগ্না ৩নং অভিযুক্ত শানুর মিয়া বলেন, দেশে আমার মামার নাম মকরম আলী, পিতা ইসকন্দর আলী আর যুক্তরাজ্যে গেছেন মকদ্দছ আলী, পিতা ছিকদ্দর আলী নামে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম।

ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিশ্বনাথে আ’লীগ নেতার সম্পত্তি দখলের পায়তারা করছে একটি কুচক্রী মহল।

আপডেট সময় ১১:১৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০২০

বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ পাসপোর্ট জালিয়াতি ও ভূয়া কাগজপত্র (ডকুমেন্ট) তৈরীর মাধ্যমে স্ত্রী-সন্তানদেরকে নিজ বসতবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়ার পৈত্রিক ও খরিদা সম্পত্তি দখলের পায়তারা এবং হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে মরহুম মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়ার স্ত্রী কলছুমা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং বিশ্বনাথ সিআর ১৫৪/২০২০ ইং। মামলার অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের আলমনগর গ্রামের মৃত ইসকন্দর আলীর পুত্র মকরম আলী উরফে গেদা মিয়া, মকরম আলী উরফে গেদা মিয়ার স্ত্রী ছানোয়ারা বেগম, পালোগাউ গ্রামের মৃত আপ্তাব আলীর পুত্র শানুর মিয়া, মুছেধর গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার পুত্র জিয়াউর রহমান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কাঠাদি গ্রামের আবদুল করিমের পুত্র আবদুল কাইয়ুম, মনু মিয়ার পুত্র জাহিদ খান।
মামলার লিখিত অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, ১৯৮৯ সালের ২৮ মার্চ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়ন আলমনগর গ্রামের মরহুম হাজী মোঃ সিকন্দর আলীর পুত্র মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর বাদীর স্বামী ও উপজেলার অলংকারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে বাদী সন্তানদের নিয়ে স্বামীর তৈরী পাকা দালান গৃহে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি মামলার অভিযুক্ত শানুর মিয়া বাদীর বসত গৃহে তার (শানুর) মামা ও মামলার ১নং অভিযুক্ত মকরম উরফে গেদা মিয়ার স্বত্ব আছে মর্মে দাবী করে বাদীকে বাদীর বসত গৃহ ছাড়িয়া অন্যত্র চলিয়া যাওয়ার কথা বলে। অভিযুক্ত শানুর মিয়ার এদাবী অস্বীকার করে এর তীব্র প্রতিবাদ করেন বাদী কলছুমা বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত শানুর মিয়া বাদীর ছেলে-মেয়েকে দেখে নেবে মর্মে হুমকি দেয়। এরপর গত ১৭ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে মামলার অভিযুক্ত শানুর মিয়া, জিয়াউর রহমান, আবদুল কাইয়ুম, জাহিদ খান ছুরি-চাকু হাতে নিয়ে বাদীর বসত বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে বাদী ও বাদীর পালক পুত্র মোহাম্মদ আলীকে খুন-খারাবির হুমকি দিয়ে বাদীর বসত বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বলে। বাদীর হাক-চিৎকার শুনে বাদীর ভাগিনা জাবির হোসেনসহ আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এসময় জাবির হোসেনকে ‘লাশ করার’ ও বাদীর বসত বাড়ি দখল করে নেবে বলে হুমকি দেয় অভিযুক্ত শানুর মিয়াসহ অন্যান্যরা চলে যায়। লিখিত অভিযোগে বাদী আরো উল্লেখ করেছেন, হুমকি দিয়ে অভিযুক্ত শানুর মিয়া, জিয়াউর রহমান, আবদুল কাইয়ুম, জাহিদ খান বাদীর বসত বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর লোকমুখে ও স্বাক্ষীদের মাধ্যমে বাদী কলছুমা বেগম জানতে পারেন মামলার প্রধান অভিযুক্ত মৃত ইসকন্দর আলীর পুত্র মকরম আলী উরফে গেদা মিয়া বাদীর স্বামী মৃত মকদ্দস আলী, পিতা সিকন্দর আলীর নাম ধারণ করিয়া প্রতারণার মাধ্যমে পাসপোর্ট, জন্ম সনদসহ ডকুমেন্ট তৈরী করে সে নিজে মকদ্দস আলী সাজিয়া যুক্তরাজ্যে গেছে এবং মকদ্দস আলীর স্ত্রী হিসেবে মামলার ২নং অভিযুক্ত ছানোয়ারা বেগমকেও জালিয়াতির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যায় প্রধান অভিযুক্ত মকরম আলী উরফে গেদা মিয়া। আর মৃত ইসকন্দর আলীর পুত্র মকরম আলী উরফে গেদা মিয়া জালিয়াতির মাধ্যমে মকদ্দস আলী উরফে মকন মিয়ার নামে পাসপোর্টসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট তৈরী করার ফলে বর্তমানে বাদী ও বাদীর পিতৃহারা সন্তানদেরকে তাদের পৈত্রিক বিটা ছাড়া করার জন্য ৩-৬নং অভিযুক্তদের দিয়ে বসত-বাড়ি দখল ও হত্যা করার হুমকি দিয়েছে। বাদীর স্বামী মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়া তার জীবদ্দশায় দ্বিতীয় বিয়ে করেননি, ফলে বাদীই ছিলেন একমাত্র স্ত্রী। আর প্রধান অভিযুক্ত মৃত ইসকন্দর আলীর পুত্র মকরম আলী উরফে গেদা মিয়া জালিয়াতির মাধ্যমে মকদ্দস আলী সেজে ২নং অভিযুক্ত ছানোয়ারা বেগমকে বিয়ে করে নিজের আসল পরিচয় গোপন করেছে। তাই নিরপেক্ষ তদন্ত হলে প্রমানিত হবে যে প্রধান অভিযুক্ত মকরম আলী উরফে গেদা মিয়া কোন অবস্থায় আমার স্বামী মৃত মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়া নন। আর সে মৃত মরহুম হাজী মোঃ সিকন্দর আলীর পুত্র নন, বাস্তবে সে মৃত ইসকন্দর আলীর পুত্র। জালিয়াতি, প্রতারণা ও সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আমার স্বামীর নাম ধারণ করে তার (মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়া) সম্পত্তি দখলের পায়তারা করছে।
এদিকে, মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়ার বসত-ঘরের জায়গা দখল ও স্ত্রী-সন্তানসহ আমমোক্তারকে হত্যা করার হুমকির অভিযোগে গত ২০ আগস্ট সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে এবং প্রবাসীর স্ত্রীর বসবাসরত ভূমি যাহাতে বেদখল ও উক্ত সম্পত্তি থেকে তাহাকে যাতে বিতাড়িত না করতে পারে তজ্জন্য ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারি করার লক্ষ্যে গত ১৮ আগস্ট সিলেটে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরো দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছেন মরহুম মকদ্দস আলী উরফে মখন মিয়ার স্ত্রী কলছুমা বেগমের ভাগ্না জাবির হোসেন। মামলা নম্বর গুলো হলো যথাক্রমে বিশ্বনাথ বিবিধ মোকদ্দমা নং ১৯/২০২০ইং এবং বিশ্বনাথ সিআর মোকদ্দমা নং ১৪৯/২০২০ইং।
নিজেদের উপর উত্তাপিত সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত দাবী করে মামলার ১নং অভিযুক্ত মকরম আলী উরফে গেদা মিয়ার ভাগ্না ৩নং অভিযুক্ত শানুর মিয়া বলেন, দেশে আমার মামার নাম মকরম আলী, পিতা ইসকন্দর আলী আর যুক্তরাজ্যে গেছেন মকদ্দছ আলী, পিতা ছিকদ্দর আলী নামে।