ঢাকা ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনার এর সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুক্তরাজ্যের নর্থ-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফখরুল হোসাইনের সাথে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকের আত্মপ্রকাশ, সভাপতি ফখরুল হোসাইন সম্পাদক নুরুল আমিন ৪০ কেজি ওজনের হলি রামাদ্বান ফ্যামেলি ফুড প্যাক বিতরণ করল আননিয়ামাহ উইমেন্স এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ

যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জাতীয় শোকদিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক ভার্চ্যুয়াল আলাচনা সভা অনুষ্টিত হয়।

১৫ আগষ্ট শনিবার লন্ডন সময় বিকাল ১টায় এবং বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অমর একুশে গানের রচয়িতা প্রবীণ সাংবাদিক কলামিষ্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী।

সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু আমাদের শুধু স্বাধীনতা এনেই দেননি, বাঙ্গালী হিসেবে বিশ্ব দরবারে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক নেতা এসেছেন, কিন্তু একটি জাতীকে দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে মাত্র সাড়ে নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে সেই স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, দিয়েছেন একটি স্বাধীন ভূখণ্ড।বঙ্গবন্ধু ছাড়া এমন নেতা আর আসেননি।
প্রধান বক্তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন,
‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচন করা সবচেয়ে জরুরি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল কে? তিনি আর কেউ নন, জিয়াউর রহমান। সেই দিনের ষড়যন্ত্রের নেপথ্য নায়ক হলো জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল সেই হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করালেও হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের বিচার করা হয়নি। এই ষড়যন্ত্রকারীদের নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচন করা সবচেয়ে জরুরি।’

অনুষ্টানের প্রধান আলোচক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক পাঁচ খুনির মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায় কীভাবে আছেন তার কাগজপত্র বাংলাদেশকে দিতে সম্মতি দিয়েছে দেশটির আদালত। আর যুক্তরাষ্ট্রের থাকা খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে অগ্রগতির ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। বাকি তিন খুনি কর্নেল শরীফুল হক ডালিম, কর্নেল রশীদ এবং মোসলেউদ্দিন রিসালদারের অবস্থান না জানলেও সরকার অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেন, ১৫ ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র একজন রাষ্ট্র প্রধানকে হত্যা বা কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছিল না, এটা ছিল সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে হত্যা করার একটি ষড়যন্ত্র। এটি ছিল বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে মুছে দিয়ে আবার পাকিস্তানের অংশ বানানোর ষড়যন্ত্র।

বিশেষ অতিথি এ্যটর্ণি জেনারেল এডভোকেট মাহবুবে আলম বলেন, যার নেতৃত্ব ও সংগ্রামের ফলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তাকে হত্যায় বিশ্ব স্তম্ভিত হয়। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ফলে যে ভাবমূর্তি এ দেশের মানুষ বিশ্বে অর্জন করেছিলো, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এর ওপর বিশ্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তিনি বলেন , বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এর বিচারে প্রতিবন্ধকতা স্বরূপ ইনডেমনিটি সহ দীর্ঘ সময় নানা ষড়যন্ত্র চলে। এছাড়াও জেল হত্যা, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা বিচারেও নানা ষড়যন্ত্র চলে। সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে এখন দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কয়েকজন খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আরও কয়েকজন খুনি দেশ-বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদেরকে দেশে এনে শাস্তি কার্যকর করার ব্যবস্থা করতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম।

যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জাতীয় শোকদিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

আপডেট সময় ০৪:০০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক ভার্চ্যুয়াল আলাচনা সভা অনুষ্টিত হয়।

১৫ আগষ্ট শনিবার লন্ডন সময় বিকাল ১টায় এবং বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অমর একুশে গানের রচয়িতা প্রবীণ সাংবাদিক কলামিষ্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী।

সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু আমাদের শুধু স্বাধীনতা এনেই দেননি, বাঙ্গালী হিসেবে বিশ্ব দরবারে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক নেতা এসেছেন, কিন্তু একটি জাতীকে দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে মাত্র সাড়ে নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে সেই স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, দিয়েছেন একটি স্বাধীন ভূখণ্ড।বঙ্গবন্ধু ছাড়া এমন নেতা আর আসেননি।
প্রধান বক্তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন,
‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচন করা সবচেয়ে জরুরি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল কে? তিনি আর কেউ নন, জিয়াউর রহমান। সেই দিনের ষড়যন্ত্রের নেপথ্য নায়ক হলো জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল সেই হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করালেও হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের বিচার করা হয়নি। এই ষড়যন্ত্রকারীদের নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচন করা সবচেয়ে জরুরি।’

অনুষ্টানের প্রধান আলোচক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক পাঁচ খুনির মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায় কীভাবে আছেন তার কাগজপত্র বাংলাদেশকে দিতে সম্মতি দিয়েছে দেশটির আদালত। আর যুক্তরাষ্ট্রের থাকা খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে অগ্রগতির ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। বাকি তিন খুনি কর্নেল শরীফুল হক ডালিম, কর্নেল রশীদ এবং মোসলেউদ্দিন রিসালদারের অবস্থান না জানলেও সরকার অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেন, ১৫ ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র একজন রাষ্ট্র প্রধানকে হত্যা বা কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছিল না, এটা ছিল সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে হত্যা করার একটি ষড়যন্ত্র। এটি ছিল বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে মুছে দিয়ে আবার পাকিস্তানের অংশ বানানোর ষড়যন্ত্র।

বিশেষ অতিথি এ্যটর্ণি জেনারেল এডভোকেট মাহবুবে আলম বলেন, যার নেতৃত্ব ও সংগ্রামের ফলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তাকে হত্যায় বিশ্ব স্তম্ভিত হয়। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ফলে যে ভাবমূর্তি এ দেশের মানুষ বিশ্বে অর্জন করেছিলো, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এর ওপর বিশ্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তিনি বলেন , বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এর বিচারে প্রতিবন্ধকতা স্বরূপ ইনডেমনিটি সহ দীর্ঘ সময় নানা ষড়যন্ত্র চলে। এছাড়াও জেল হত্যা, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা বিচারেও নানা ষড়যন্ত্র চলে। সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে এখন দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কয়েকজন খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আরও কয়েকজন খুনি দেশ-বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদেরকে দেশে এনে শাস্তি কার্যকর করার ব্যবস্থা করতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে।