ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৮ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনার এর সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুক্তরাজ্যের নর্থ-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফখরুল হোসাইনের সাথে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকের আত্মপ্রকাশ, সভাপতি ফখরুল হোসাইন সম্পাদক নুরুল আমিন ৪০ কেজি ওজনের হলি রামাদ্বান ফ্যামেলি ফুড প্যাক বিতরণ করল আননিয়ামাহ উইমেন্স এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ en ıyı bahis siteleri’deki En Büyük Yalan

হাট-বাজার শপিংমল গণপরিবহন সহ সবকিছু খুলে দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা কি?

দিনের পর দিন ধরে বন্ধ বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। গত ১৮ মার্চ ২০২০ করোনা মহামারির কারণে বন্ধ ঘোষনা করা হয় দেশের সকল অফিস-আদালত, গণপরিবহন,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বৈদেশিক যোগাযোগ । এর পর ধীরে ধীরে সবকিছু চালু হলেও বন্ধ রয়েছে শুধুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো।​ উল্টো ধাপে ধাপে​ বাড়ানো হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি । কবে নাগাদ এগুলো খুলে দেয়া হবে এ বিষয়ে কিছুই বলছে না শিক্ষা মন্ত্রনালয় ।​
ব্যপক জন সমাগম ও গণ জমায়েতের মতো স্থান যেমন, হাট – বাজার , শপিংমল , গণপরিবহন ইত্যাদি খুলে দেয়া হলেও কোন এক অদৃশ্য কারণে বন্ধ করে রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো । অজুহাত হিসেবে দেখানো হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি । কিন্তু শুধুমাত্র একটি কারণে এভাবে দিনের পর দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা যৌক্তিক কোন কারণ হতে পারে না । কারণ, করোনা মহামারী দ্রুত সমাধান হওয়ার মত কোন বিষয় নয় । কবে মহামারি নিয়ন্ত্রনে আসবে তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে ? তাই ‘মহামারি কমে যাওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে’- এমন ভেবে সবকিছু বন্ধ করে বসে থাকার কোন অবকাশ নেই ।​
বিশ্ব স্বাস্থ্য স্বংস্থার মতে , করোনা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই । দশকের পর দশক স্থায়ী হতে পারে এটি। তাই করোনা মহামারীর অজুহাতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা সুবিবেচনা প্রসুত নয় । তাছাড়া ভ্যাকসিন আসলেও তা বাংলাদেশে কবে আসবে এবং ভ্যাকসিন কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে ।
​ এদিকে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা । নেমে এসেছে ভয়াবহ এক স্থবিরতা । শিক্ষর্থীদের মাঝে বাড়ছে হতাশা ও উৎকন্ঠা । অনিশ্চয়তার ঘূর্ণিজালে পাক খাচ্ছে অসংখ্য শিক্ষার্থীর জীবন । অজানা এক অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের ভবিষ্যত । দীর্ঘদিন একটানা ঘরে থেকে একগুয়েমি ও হতাশায় আক্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা ।​
সরকার অনলাইন ক্লাসের কথা বললেও , এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত নেই কোন সার্বজনীন নীতিমালা । নেই সরকারী কোন সহায়তা কিংবা প্রণোদনা । তাছাড়া সবগুলো প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস চালু হয়েছে কিনা , এ বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কোন তৎপরতা নেই সরকারের । কেবল অনলাইন ক্লাসের ঘোষনা দিয়েই ক্ষান্ত সরকার । বেশকিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনলাইন ক্লাস চালু করলেও তাদের কার্যক্রমে নেই কোন স্বচ্ছতা । তাছাড়া কোন ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশন আপগ্ৰেড করা হবে বলেও গুন্জন শোনা যাচ্ছে । বিষয়টি উদ্বেগ জনক । তাই এ বিষয়ে সরকারী​ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা একান্ত প্রয়োজন ।
​ অনুষ্ঠিত হয়নি এ বছরের এইচ এসসি পরীক্ষা । লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর জীবন পড়েছে অনিশ্চয়তার মুখে । সরকারকে এ বিষয়ে যথেষ্ঠ তৎপর বলে মনে হয় না । কারণ তাদের কাছে সবকিছুর গুরুত্ব আছে , কিন্তু শিক্ষার কোন গুরুত্ব নেই । লকডাউন খুলে দেয়া হয়েছে সেই কবে । অথচ এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে চলছে গড়িমসি । সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা , প্রতিটি পরীক্ষার মাঝে পর্যাপ্ত গ্যাপ রেখে, স্বাস্থ্য বিধি বজায় রেখে , ধাপে ধাপে পরীক্ষাগুলো নিয়ে নেয়া যেতো । তবে এ জন্য প্রয়োজন সদিচ্ছা​ ও প্রচেষ্টা । তবে সরকারের ভেতর আপাতত এটি নিয়ে কোন চিন্তাই পরিলক্ষিত হচ্ছে নানা ।​ আমাদের ‘শিক্ষামন্ত্রী ‘, উনি তো মহাজ্ঞানী ! শিক্ষা ব্যবস্থাকেই আগাগোড়া ঢেলে সাজাতে গিয়ে​ আপাতত সব ডাল- খিচুড়ি বানিয়ে ফেলেছেন ।​ কিন্তু করোনা মহামারীর সময় শিক্ষা মন্ত্রনালয় চালাতে গিয়ে চরম অব্যবস্থাপনার পরিচয় দিয়েছেন তিনি ।​
স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি গণপরিবহন খুলে দেয়া যেতে পারে , তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে সমস্যা কোথায় ??​ করোনা ভাইরাস কি শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই থাকে ? নাকি আপনাদের কাছে সবকিছুর গুরুত্ব আছে, শুধু শিক্ষার কোন গুরত্ব নেই ? শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি এমন অবহেলা একটি জাতির জন্য সত্যিই অবমাননাকর । সুতরাং , অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া এখন সময়ের দাবী ।​
মোঃ আরাফাত রহমান​
​ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ
​ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
ট্যাগস

স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়।

হাট-বাজার শপিংমল গণপরিবহন সহ সবকিছু খুলে দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা কি?

আপডেট সময় ০৩:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০
দিনের পর দিন ধরে বন্ধ বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। গত ১৮ মার্চ ২০২০ করোনা মহামারির কারণে বন্ধ ঘোষনা করা হয় দেশের সকল অফিস-আদালত, গণপরিবহন,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বৈদেশিক যোগাযোগ । এর পর ধীরে ধীরে সবকিছু চালু হলেও বন্ধ রয়েছে শুধুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো।​ উল্টো ধাপে ধাপে​ বাড়ানো হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি । কবে নাগাদ এগুলো খুলে দেয়া হবে এ বিষয়ে কিছুই বলছে না শিক্ষা মন্ত্রনালয় ।​
ব্যপক জন সমাগম ও গণ জমায়েতের মতো স্থান যেমন, হাট – বাজার , শপিংমল , গণপরিবহন ইত্যাদি খুলে দেয়া হলেও কোন এক অদৃশ্য কারণে বন্ধ করে রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো । অজুহাত হিসেবে দেখানো হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি । কিন্তু শুধুমাত্র একটি কারণে এভাবে দিনের পর দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা যৌক্তিক কোন কারণ হতে পারে না । কারণ, করোনা মহামারী দ্রুত সমাধান হওয়ার মত কোন বিষয় নয় । কবে মহামারি নিয়ন্ত্রনে আসবে তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে ? তাই ‘মহামারি কমে যাওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে’- এমন ভেবে সবকিছু বন্ধ করে বসে থাকার কোন অবকাশ নেই ।​
বিশ্ব স্বাস্থ্য স্বংস্থার মতে , করোনা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই । দশকের পর দশক স্থায়ী হতে পারে এটি। তাই করোনা মহামারীর অজুহাতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা সুবিবেচনা প্রসুত নয় । তাছাড়া ভ্যাকসিন আসলেও তা বাংলাদেশে কবে আসবে এবং ভ্যাকসিন কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে ।
​ এদিকে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা । নেমে এসেছে ভয়াবহ এক স্থবিরতা । শিক্ষর্থীদের মাঝে বাড়ছে হতাশা ও উৎকন্ঠা । অনিশ্চয়তার ঘূর্ণিজালে পাক খাচ্ছে অসংখ্য শিক্ষার্থীর জীবন । অজানা এক অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের ভবিষ্যত । দীর্ঘদিন একটানা ঘরে থেকে একগুয়েমি ও হতাশায় আক্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা ।​
সরকার অনলাইন ক্লাসের কথা বললেও , এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত নেই কোন সার্বজনীন নীতিমালা । নেই সরকারী কোন সহায়তা কিংবা প্রণোদনা । তাছাড়া সবগুলো প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস চালু হয়েছে কিনা , এ বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কোন তৎপরতা নেই সরকারের । কেবল অনলাইন ক্লাসের ঘোষনা দিয়েই ক্ষান্ত সরকার । বেশকিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনলাইন ক্লাস চালু করলেও তাদের কার্যক্রমে নেই কোন স্বচ্ছতা । তাছাড়া কোন ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশন আপগ্ৰেড করা হবে বলেও গুন্জন শোনা যাচ্ছে । বিষয়টি উদ্বেগ জনক । তাই এ বিষয়ে সরকারী​ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা একান্ত প্রয়োজন ।
​ অনুষ্ঠিত হয়নি এ বছরের এইচ এসসি পরীক্ষা । লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর জীবন পড়েছে অনিশ্চয়তার মুখে । সরকারকে এ বিষয়ে যথেষ্ঠ তৎপর বলে মনে হয় না । কারণ তাদের কাছে সবকিছুর গুরুত্ব আছে , কিন্তু শিক্ষার কোন গুরুত্ব নেই । লকডাউন খুলে দেয়া হয়েছে সেই কবে । অথচ এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে চলছে গড়িমসি । সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা , প্রতিটি পরীক্ষার মাঝে পর্যাপ্ত গ্যাপ রেখে, স্বাস্থ্য বিধি বজায় রেখে , ধাপে ধাপে পরীক্ষাগুলো নিয়ে নেয়া যেতো । তবে এ জন্য প্রয়োজন সদিচ্ছা​ ও প্রচেষ্টা । তবে সরকারের ভেতর আপাতত এটি নিয়ে কোন চিন্তাই পরিলক্ষিত হচ্ছে নানা ।​ আমাদের ‘শিক্ষামন্ত্রী ‘, উনি তো মহাজ্ঞানী ! শিক্ষা ব্যবস্থাকেই আগাগোড়া ঢেলে সাজাতে গিয়ে​ আপাতত সব ডাল- খিচুড়ি বানিয়ে ফেলেছেন ।​ কিন্তু করোনা মহামারীর সময় শিক্ষা মন্ত্রনালয় চালাতে গিয়ে চরম অব্যবস্থাপনার পরিচয় দিয়েছেন তিনি ।​
স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি গণপরিবহন খুলে দেয়া যেতে পারে , তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে সমস্যা কোথায় ??​ করোনা ভাইরাস কি শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই থাকে ? নাকি আপনাদের কাছে সবকিছুর গুরুত্ব আছে, শুধু শিক্ষার কোন গুরত্ব নেই ? শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি এমন অবহেলা একটি জাতির জন্য সত্যিই অবমাননাকর । সুতরাং , অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া এখন সময়ের দাবী ।​
মোঃ আরাফাত রহমান​
​ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ
​ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়