ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনার এর সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুক্তরাজ্যের নর্থ-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফখরুল হোসাইনের সাথে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকের আত্মপ্রকাশ, সভাপতি ফখরুল হোসাইন সম্পাদক নুরুল আমিন ৪০ কেজি ওজনের হলি রামাদ্বান ফ্যামেলি ফুড প্যাক বিতরণ করল আননিয়ামাহ উইমেন্স এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ

সিলেটের বিশ্বনাথের একটি অজপাড়াগাঁয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যাদ্বয় এর বিশেষ মানবিক সহায়তা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ   সিলেট জেলার অন্তর্গত বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের একটি বৃহত্তর গ্রাম আমতৈল। সেই আমতৈল গ্রামের মতো একটি অজপাড়াগাঁয়ে পৌছালো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তা। গ্রামের ৪৬১ জন প্রতিবন্ধীর জন্য জনপ্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং প্রতি পরিবারকে একটি লুঙ্গি ও একটি শাড়ি দিতে ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।  ওই একটি গ্রামেই
প্রতিবন্ধিতার হার পুরো সিলেটের সামগ্রিক হারের দ্বিগুণেরও বেশি।
গণমাধ্যমে এই খবরটি দেখার পর বঙ্গবন্ধুকন্যা তনয়া শেখ রেহানা তার বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
“মানবতার মা” খ্যাত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক এই বিষয়টি তৎক্ষণাৎ আমলে নিয়ে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয় সিলেটের
বৃহত্তর ওই গ্রাম আমতৈলের বর্তমান প্রতিবন্ধী শিশুদের সুস্থতা এবং ভবিষ্যতে সুস্থ প্রজন্ম নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী আরো সাতটি নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এই নির্দেশনা গুলোর মধ্যে রয়েছে- যথাক্রমেঃ

গ্রামের সকল প্রতিবন্ধীর সমস্যা যথাযথভাবে চিহ্নিত করে বিশেষ প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আনতে হবে।

সকলকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাউন্সেলিং করা।

নিজ বাসস্থানসহ আশেপাশের পরিবেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

খাদ্যের সকল পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে ভিটামিন সাপ্লিমেন্টারি ঔষধ সরবরাহ এবং সুপেয় পানির সুব্যবস্থা করা।

গ্রামে প্রয়োজনীয় মাটি ভরাট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ সিস্টেম চালু এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে।

প্রতিবন্ধীদের চাহিদা মোতাবেক বহুমাত্রিক শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করে প্রতিবন্ধী স্কুল স্থাপন ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করা।

চাহিদামাফিক প্রয়োজনীয় সহায়ক উপকরণ যেমন:- হুইল চেয়ার, ট্রাইসাইকেল, হেয়ারিং ডিভাইস ও দৃষ্টি সহায়ক উপকরণ সরবরাহ করতে হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম।

সিলেটের বিশ্বনাথের একটি অজপাড়াগাঁয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যাদ্বয় এর বিশেষ মানবিক সহায়তা।

আপডেট সময় ০৫:২৩:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ   সিলেট জেলার অন্তর্গত বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের একটি বৃহত্তর গ্রাম আমতৈল। সেই আমতৈল গ্রামের মতো একটি অজপাড়াগাঁয়ে পৌছালো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তা। গ্রামের ৪৬১ জন প্রতিবন্ধীর জন্য জনপ্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং প্রতি পরিবারকে একটি লুঙ্গি ও একটি শাড়ি দিতে ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।  ওই একটি গ্রামেই
প্রতিবন্ধিতার হার পুরো সিলেটের সামগ্রিক হারের দ্বিগুণেরও বেশি।
গণমাধ্যমে এই খবরটি দেখার পর বঙ্গবন্ধুকন্যা তনয়া শেখ রেহানা তার বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
“মানবতার মা” খ্যাত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক এই বিষয়টি তৎক্ষণাৎ আমলে নিয়ে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয় সিলেটের
বৃহত্তর ওই গ্রাম আমতৈলের বর্তমান প্রতিবন্ধী শিশুদের সুস্থতা এবং ভবিষ্যতে সুস্থ প্রজন্ম নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী আরো সাতটি নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এই নির্দেশনা গুলোর মধ্যে রয়েছে- যথাক্রমেঃ

গ্রামের সকল প্রতিবন্ধীর সমস্যা যথাযথভাবে চিহ্নিত করে বিশেষ প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আনতে হবে।

সকলকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাউন্সেলিং করা।

নিজ বাসস্থানসহ আশেপাশের পরিবেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

খাদ্যের সকল পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে ভিটামিন সাপ্লিমেন্টারি ঔষধ সরবরাহ এবং সুপেয় পানির সুব্যবস্থা করা।

গ্রামে প্রয়োজনীয় মাটি ভরাট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ সিস্টেম চালু এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে।

প্রতিবন্ধীদের চাহিদা মোতাবেক বহুমাত্রিক শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করে প্রতিবন্ধী স্কুল স্থাপন ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করা।

চাহিদামাফিক প্রয়োজনীয় সহায়ক উপকরণ যেমন:- হুইল চেয়ার, ট্রাইসাইকেল, হেয়ারিং ডিভাইস ও দৃষ্টি সহায়ক উপকরণ সরবরাহ করতে হবে।