মোঃ আরাফাত রহমানঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দফায় দফায় পালিত হচ্ছে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী । পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ইতোমধ্যেই রোপণ করা হয়ে প্রায় কয়েকশত বৃক্ষ । কিন্তু সুষ্ঠু পরিচর্যার অভাবে বেশিরভাগ বৃক্ষ এখন মৃতপ্রায় ।
শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও রাজনৈতিক সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক উদ্যোগে রোপণ করা হয় এসব বৃক্ষ । কিন্তু গাছ লাগানো পর্যন্তই সকলের দায় শেষ । তারপর আর কেউ এগুলোর কোন পরিচর্যা করে না । গতকাল সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে , হাতে গোনা কয়েকটি চারা ব্যতিত বাকি সবগুলোরই বেহাল দশা । চারাগাছ গুলোতে খুঁটি না দেয়া , নিয়মিত পানি না দেয়া ও আশপাশের এলাকা বাসীর গবাদি পশুর তান্ডবে মারা যাচ্ছে বৃক্ষের চারা গুলো ।
গতকাল ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে একই সাথে প্রায় ২০-২৫টি গরু -ছাগল চড়তে দেখা গেছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে কোন সীমানা প্রাচীর না থাকায় , কোন রকম বাঁধা ছাড়াই এই গবাদি পশুগুলো ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং গাছের চারা গুলো খেয়ে নষ্ট করে ফেলে ও যেখানে সেখানে মল ত্যাগ করে পরিবেশ দূষণ করে । বারবার আশপাশের লোকজনদের ক্যাম্পাসে গবাদি পশু চড়াতে নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা কোন বাঁধাই মানছে না । বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তা প্রহরিদের প্রতিনিয়ত স্থানীয় লোকজনের সাথে বাদানুবাদ হয় । মাঝে মাঝে এলাকাবাসী তাদের মারধরের হুমকি পর্যন্ত দেয় ।
করোনা কালীন মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ক্যাম্পাস । বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ‘মালি’রা কাজ করতে আসে না । ,তাই বৃক্ষের চারাগুলোর সুষ্ঠু পরিচর্যার করা সম্ভব হচ্ছে না । এ বিষয়ে কনজ্যুমার ইউথ বাংলাদেশ , জাককানইবি এর সভাপতি বলেন , ‘ বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ‘মালি’ পদে চাকরি করেন তাদের বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশেই ।লকডাউনের কারনে তারা ঘরে বসে বসে বেতন পাচ্ছে । বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত , তাদেরকে এই চারাগাছ গুলো পরিচর্যার দায়িত্ব দেয়া ।’
ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফোরাম -জাককানইবি এর ধর্মবিষয়ক সম্পাদক বলেন ,’বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর আশপাশের ও স্থানীয় লোকদের গবাদি পশু চরানো বন্ধ করা উচিত । এ ব্যপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে যথার্থ পদক্ষেপ নিতে হবে ।’
আজ রবিবার জাককানইবি সাংবাদিক সমিতির উদ্যোগে গাছগুলো পরিচর্যার কাজ করা হয় ।এতে উপস্থিত ছিলেন জাককানইবি সাংবাদিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ রাশিদুজ্জামান রনি, আদিব রহমান ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ।
উল্লেখ্য , বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভবন তৈরীর জন্য কেটে ফেলা হচ্ছে অসংখ্য গাছ । তাই ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধরে রাখতে এই চারা গুলোর পরিচর্যা করা প্রয়োজন ।