অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর:
ফেস্টুনে কাদা, গোবর ও জুতার মালা দেয়ার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরের চররুহিতা ইউনিয়নে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের আয়োজন করে স্থানীয় যুবলীগ।
চর রুহিতা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ক্যাম্পের হাট বাজারে ওয়ার্ড যুবলীগের ফেস্টুনে কে বা কারা রাতের আঁধারে কাদা ও গোবর ছুঁড়ে মারে। এছাড়াও জুতার মালা তারকাটা দিয়ে সাঁটিয়ে দেয়। পরদিন সকালে স্থানীয় ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান হাওলাদার প্রকাশ মাফু দেখতে পেয়ে আফসোস করে লোকের মাধ্যমে জুতা নামিয়ে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শাহজাহান ও শাহ আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন -‘এটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা যে বা যারা এধরনের হীন কাজ করেছে তা একেবারে নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ, এটা ঠিক হয়নি।’
এই নিয়ে স্থানীয় যুবলীগের উদ্যোগে আজ দুপুরে প্রতিবাদ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। ইউনিয়ন যুবলীগের সেক্রেটারি ইউনুস হোসেন লিটনের নেতৃত্বের বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড যুবলীগ সেক্রেটারি রাকিব হোসেন,ওয়ার্ড আহবায়ক মামদু আহমেদ প্রমূখ। এ সময় বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ইউনুস হোসেন লিটন অভিযোগ করে বলেন -‘আমাদের ফেস্টুন লাগানোর সময় জামায়াত-বিএনপির লোকেরা বাধা দেয়। আবদুল গোফরান, রহমত উল্লা হাওলাদার, ফিরোজ হাওলাদার, আব্দুল মালেক, রহিম দোকানদার ও শহীদের নেতৃত্বে কাশেম রুবেল ও সোহেল এ কাজ করতে পারে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল গোফরান বলেন-‘আমি দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে যুবলীগ করে বহু অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছি। জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমি আওয়ামী লীগ করি কিন্তু যুবলীগের সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। এটা যেই করেছে তা অত্যন্ত নিন্দিত গর্হিত কাজ। আমাদের পক্ষে এ ধরনের কাজ করা মোটেই সম্ভব নয়। যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা বানোয়াট।
একই কথা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক রহমত উল্লাহ হাওলাদার বলেন। যারা এধরনের কাজ করেছে আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।