অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর:
মেঘনা নদীর করালগ্রাসে দিনকে দিন ছোট হয়ে আসা লক্ষ্মীপুর জেলার সদর আংশিক কমলনগর ও রামগতি উপজেলার গৃহহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষগুলোর আর্তি যেন কেউই শুনছে না। ভূমিহীন গৃহহীন নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার অসহায় মানুষগুলো নদী ভাঙ্গন রোধের দাবিতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নদীভাঙন রোধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। আজ সকালে উপজেলার পাটারিরহাট মেঘনাতীরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে পাটারিরহাট ‘বাঁচাও মঞ্চ’ নামের একটি সংগঠন৷ মানববন্ধন শেষে নদীভাঙন রোধে গড়িমসির অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয়রা। এতে অংশ নেন মেঘনার ভাঙন কবলিত কয়েক হাজার মানুষ।
স্থানীয় মানুষজনের দাবি, দীর্ঘ তিন যুগ ধরে নদীরভাঙনে কমলনগরের বিস্তীর্ণ জনপদ বিলীন হতে চললেও নদীভাঙন রোধে স্থায়ী কোন প্রদক্ষেপ নেয়া হয়নি৷ ফলে মানুষের বাড়ি-ঘর, ভিটে-মাটি, সরকারি-বেসরকারি বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলনের জেলা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. হ. ম নোমান সিরাজী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মো. রাকিব হোসেন সোহেল, পাটারিরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব হোসেন লোটাস, ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক হাজী জামাল উদ্দিন, জেলা ফারিয়ার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বিপ্লব, কমলনগর স্টার ক্লাবের সহ-সভাপতি মাকছুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইছমাইল হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক আক্তার পাটোয়ারী, নিউ তারুণ্য তরঙ্গ সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলম রাজা প্রমুখ।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভে একাত্মতা জানিয়ে অংশ নেয় কমলনগর স্টার ক্লাব, নিউ তারুণ্য তরুঙ্গ সংসদ, পাটারিরহাট জুনিয়র একতা সংঘ, পপুলার ফোকাস খায়েরহাট, স্টুডেন্ট একাদশ।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, কমলনগরের মেঘনাতীরের সীমান্তবর্তী এলাকা ১৭কিলোমিটার। এর মধ্যে মাত্র এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয়েছে। বাকি ১৬কিলোমিটার এলাকা নদীতে বিলীন হচ্ছে ৩৬বছর ধরে।
শেষমেশ হতাশ হয়ে ভাঙনের শিকার মানুষ নদীরপাড়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। কমলনগরের মেঘনার ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোর মধ্যে পাটারিরহাট এলাকায় মেঘনার ভাঙন প্রবল। দ্রুত মেঘনাতীরের এ বিশাল এলাকায় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ব্লক বাঁধের দাবি জানিয়েছেন তারা।