ডেস্ক নিউজঃ ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে কোনো এক লঞ্চ ডুবির গল্প! না ছবিতে গত কয়েকদিন আগে মেঘনার বুকে ঝাপ দেয়া এক তরুনী (১৬)যে হায়নাদের হাত থেকে নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রানপন চেষ্টা করে যাচ্ছে। কতটুকু অসহায় হলে মানুষ এই ধরনের ঝুঁকি নেয় তা এই ছবিই বলে দেয়।
ছবিটি আমাদের সমাজের সভ্যতা কে কলুষিত করে
ঘুমিয়ে থাকা মনুষ্যত্ব কে জাগ্রত করার চেষ্টা করছে!
হয়তো এধরনের কিছু ছবি কিছু ঘটনা কিছুটা হলেও জাগাতে পেরেছে আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ বিবেক দের!
তাইতো ধর্ষনের শাস্তি যাবৎ জীবন যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্যরা এটিকে মৃত্যুদন্ডে উন্নিত করার আহবান জানান এবং ২০১৯ সালকে ধর্ষনের মহামারী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন ধর্ষন চিরতরে বন্ধে ধর্ষক দের ক্রসফায়ারে হত্যার দাবীও জানান তারা।
মহান জাতীয় সংসদে দাড়িয়ে পয়েন্ট অফ অর্ডারে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, কাজী ফিরুজ রশিদ এবং সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতা তোফায়েল আহমেদ ধর্ষনের বিরুদ্ধে অগ্নিঝরা বক্তব্য দেন সে সময় সকল সংসদ সদস্যই তাদের এই বক্তব্য কে সমর্থন জানান। তবে এর বাস্তবতা আর কার্যকরতা নিয়ে তো প্রশ্ন থেকেই যায় বরাবরের মতো।
ধর্ষন এখন একটি নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে খবরের কাগজ টিভির স্ক্রিন বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেই হোক পাঠকদের এই খবরটি আর গুরুত্ববহন করে না তবে গুরুত্ববহন করে সেই ধর্ষিতা বা তার পরিবারের যে ধর্ষনের ফলে অকালেই ঝরে যায় একটি প্রান অথবা থেমে যায় জীবনের গতিপথ বা কোলাহল আবার অনেকেই হয়ে যায় তসলিমা বা নির্জন রাতের সেই ছদ্মবেশী মর্জিনা। একবিংশ শতাব্দীর আধুনিকতা আর মানবতার কাছে পরাজিত হোক এই অসভ্যতা এবং সকল হিংস্রতার।