খোর্শেদ আলম।। কর্মহীনতার জন্য মানুষ পাড়ি দিচ্ছে গ্রামের বাড়িতে। অনেকে লাঞ্চিত হচ্ছে বাড়ির মালিকের কাছে বাসা বাড়ার দিতে না পারার জন্য।। হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা পপি জানান, দীর্ঘ তিন মাসের বাড়ি বাড়া দিতে পারছেননা, বাড়ি বাড়া দিতে না পারার জন্য বাসায়ও উঠতে দিচ্ছেনা বাড়ির মালিক, এদিকে মেয়ের লেখা পড়াও বন্ধ হয়ে গেছে টাকার অভাবে, করোনা ভাইরাসের কারনে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন, লকডাউন স্বাভাবিক হলে তিনি ঢাকার বাসা ডেমরা আসলে এ প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। বাসা বাড়ার চাপে পড়ে বাড়ির মালিকের কাছে লিখিত দিতে বাধ্য হন চলতি মাসের ১০ তারিখ বাসা বাড়া দিতে না পারলে, আসবাবপত্র জিম্মি রেখে গ্রামের বাড়িতে চলে যান এই বলে না আসতে পারলে বাসার মালামাল বিক্রি করে বাসা বাড়ার টাকা পরিশোধ হিসেবে নেওয়ার জন্য।।
জন্ম ও বেড়ে উঠা সবই ঢাকায়, কিন্তু চির পরিচিত এই শহর ছেড়ে এখন গ্রামে পাড়ি দিতে হচ্ছে সোনিয়াকে। স্বামীর হাত ধরে এখন গ্রামে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।
পেশায় বাস কন্ডাক্টর সোনিয়ার স্বামীর আয় বন্ধ হয়ে যায় সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর। বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে শেষমেষ সুদে ধার করে টাকা এনে ভাড়া পরিশোধ করেন। এরপরে ছেড়ে যান এই শহর।
এই শহরে প্রায় একযুগ ধরে ডাব, সবজি এসব বিক্রি করে সংসার চালাতেন চুন্নু মিয়া। গেল তিনমাস ধরে উপার্জন বন্ধ থাকায় বউ বাচ্চাদের গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখন চিন্তা করছে নিজেও ঢাকা ছাড়বেন। উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা ছাড়ছেন এরকম বহু মানুষ –