ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়। ম্যানচেস্টার সহকারী হাইকমিশনার এর সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুক্তরাজ্যের নর্থ-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফখরুল হোসাইনের সাথে বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব নর্থ বাংলা প্রেসক্লাব ইউকের আত্মপ্রকাশ, সভাপতি ফখরুল হোসাইন সম্পাদক নুরুল আমিন ৪০ কেজি ওজনের হলি রামাদ্বান ফ্যামেলি ফুড প্যাক বিতরণ করল আননিয়ামাহ উইমেন্স এডুকেশন ট্রাস্ট ইউ কে যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ যুক্তরাজ্যের উইলশ্যায়ার কাউন্টির ডেপুটি লেফট্যানান্ট হলেন বিশ্বনাথের মাকরাম আলী আফরুজ en ıyı bahis siteleri’deki En Büyük Yalan

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকীতে শফিউল আলম নাদেলের হৃদয়স্পর্শী শ্রদ্ধা।

…রুমির সঙ্গে কয়েকদিন ধরে খুব তর্ক–বিতর্ক হচ্ছে। ও যদি ওর জানা অন্য ছেলেদের মতো বিছানায় পাস বালিশে শুইয়ে বাবা–মাকে লুকিয়ে পালিয়ে যুদ্ধে চলে যেতো, তাহলে একদিক দিয়ে বেঁচে যেতাম। কিন্তু ওই যে ছোটবেলা থেকে শিখিয়েছি, লুকিয়ে বা পালিয়ে কিছু করবে না। নিজের ফাঁদে নিজেই ধরা পড়েছি। রুমি আমাকে বুঝিয়েই ছাড়বে, সে আমার কাছে মত আদায় করেই ছাড়বে। কিন্তু আমি কি করে মত দিই? রুমির কি যুদ্ধ করার বয়স? এখনত তার লেখাপড়ার সময়…
ছেলের সঙ্গে বুঝতে বুঝতে একসময় একসময় ছেলের কথাই মেনে নিলেন।
‘ঠিক আছে তোর কথাই মেনে নিলাম। দিলাম তোকে দেশের জন্য কোরবানি। যা তুই যুদ্ধে যা।’

এই বইটি লেখা শুরু হয়েছিল ১ মার্চ ১৯৭১–এ, আর শেষ হয়েছে ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১। নতুন প্রজন্মের যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সামগ্রিক অবস্থা জানতে আগ্রহী, তারা এই বইটি পড়লে ধারণা পাবে। তিনি শুধু রুমিকে যুদ্ধে পাঠিয়ে ক্ষান্ত ছিলেন না। প্রায় সময় তাঁর এলিফ্যান্ট রোডের বাড়ি কণিকায় আসত গেরিলা মুক্তিযোদ্ধারা। তিনি তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতেন। অসুস্থদের সেবা দিতেন। নিজের ছেলের মতো স্নেহ করতেন।

শহীদ জননী জাহানরা ইমাম , একজন শহীদ রুমির মা ক্রমশ যেন লাখো শহীদের মা হয়ে উঠছিলেন। তিনি তাঁর রুমিকে হারানোর শোক মেনে নিয়েছিলেন, যদিও রুমি ছিল তাঁর বড় সাধের সন্তান। যদিও তাকে হারিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এ দেশের লাখো মা যদি তাদের পুত্র হারানোর শোক সহ্য করতে পারে, তাহলে তিনি কেন পারবেন না?

একাত্তরের দিনগুলি তার একটি মর্মস্পর্শী রচনা। সকল তরুণ ছাত্র দের এই বইটি অবশ্যই পাঠ করতে হবে ।বার বার করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আমাদের মধ্যে ধারণ করতে হবে অবশ্যই ।‘একাত্তরের দিনগুলোতে ‘ ফুটে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়কার একজন সাহসী তরুনের বীরত্বগাথা , দেশের জন্য আত্মত্যাগের কথা আমাদের মধ্যেও এই চেতনা জাগ্রত রাখতে হবে এই বইটি আমাদেরকে পথ দেখাবে এই বইটি আমাদেরকে অনুপ্রেরণা যোগাবে ।

বস্তুত তিনি তাঁর শোককে শক্তিতে পরিণত করেছিলেন। বাঙালি মায়েরা কত সাহসী, কত শক্তিমান, কত ত্যাগী, মহান হতে পারেন তারই প্রমাণ দিয়ে গেছেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। তাঁর কাছ থেকে, তার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন আমেরিকার এক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

অমর হয়ে থাকবেন বীরমাতা জাহানারা ইমাম। বাঙালি জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তার ত্যাগ ও অবদানের কথা।

লেখকঃ

শফিউল আলম নাদেলঃ  সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও পরিচালক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

ট্যাগস

স্কানথর্পের নব নির্বাচিত এমপির সাথে নর্থ বাংলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময়।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকীতে শফিউল আলম নাদেলের হৃদয়স্পর্শী শ্রদ্ধা।

আপডেট সময় ০২:০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০

…রুমির সঙ্গে কয়েকদিন ধরে খুব তর্ক–বিতর্ক হচ্ছে। ও যদি ওর জানা অন্য ছেলেদের মতো বিছানায় পাস বালিশে শুইয়ে বাবা–মাকে লুকিয়ে পালিয়ে যুদ্ধে চলে যেতো, তাহলে একদিক দিয়ে বেঁচে যেতাম। কিন্তু ওই যে ছোটবেলা থেকে শিখিয়েছি, লুকিয়ে বা পালিয়ে কিছু করবে না। নিজের ফাঁদে নিজেই ধরা পড়েছি। রুমি আমাকে বুঝিয়েই ছাড়বে, সে আমার কাছে মত আদায় করেই ছাড়বে। কিন্তু আমি কি করে মত দিই? রুমির কি যুদ্ধ করার বয়স? এখনত তার লেখাপড়ার সময়…
ছেলের সঙ্গে বুঝতে বুঝতে একসময় একসময় ছেলের কথাই মেনে নিলেন।
‘ঠিক আছে তোর কথাই মেনে নিলাম। দিলাম তোকে দেশের জন্য কোরবানি। যা তুই যুদ্ধে যা।’

এই বইটি লেখা শুরু হয়েছিল ১ মার্চ ১৯৭১–এ, আর শেষ হয়েছে ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১। নতুন প্রজন্মের যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সামগ্রিক অবস্থা জানতে আগ্রহী, তারা এই বইটি পড়লে ধারণা পাবে। তিনি শুধু রুমিকে যুদ্ধে পাঠিয়ে ক্ষান্ত ছিলেন না। প্রায় সময় তাঁর এলিফ্যান্ট রোডের বাড়ি কণিকায় আসত গেরিলা মুক্তিযোদ্ধারা। তিনি তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতেন। অসুস্থদের সেবা দিতেন। নিজের ছেলের মতো স্নেহ করতেন।

শহীদ জননী জাহানরা ইমাম , একজন শহীদ রুমির মা ক্রমশ যেন লাখো শহীদের মা হয়ে উঠছিলেন। তিনি তাঁর রুমিকে হারানোর শোক মেনে নিয়েছিলেন, যদিও রুমি ছিল তাঁর বড় সাধের সন্তান। যদিও তাকে হারিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এ দেশের লাখো মা যদি তাদের পুত্র হারানোর শোক সহ্য করতে পারে, তাহলে তিনি কেন পারবেন না?

একাত্তরের দিনগুলি তার একটি মর্মস্পর্শী রচনা। সকল তরুণ ছাত্র দের এই বইটি অবশ্যই পাঠ করতে হবে ।বার বার করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আমাদের মধ্যে ধারণ করতে হবে অবশ্যই ।‘একাত্তরের দিনগুলোতে ‘ ফুটে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়কার একজন সাহসী তরুনের বীরত্বগাথা , দেশের জন্য আত্মত্যাগের কথা আমাদের মধ্যেও এই চেতনা জাগ্রত রাখতে হবে এই বইটি আমাদেরকে পথ দেখাবে এই বইটি আমাদেরকে অনুপ্রেরণা যোগাবে ।

বস্তুত তিনি তাঁর শোককে শক্তিতে পরিণত করেছিলেন। বাঙালি মায়েরা কত সাহসী, কত শক্তিমান, কত ত্যাগী, মহান হতে পারেন তারই প্রমাণ দিয়ে গেছেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। তাঁর কাছ থেকে, তার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন আমেরিকার এক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

অমর হয়ে থাকবেন বীরমাতা জাহানারা ইমাম। বাঙালি জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তার ত্যাগ ও অবদানের কথা।

লেখকঃ

শফিউল আলম নাদেলঃ  সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও পরিচালক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।