বিশ্বনাথ (বাংলাদেশ) প্রতিনিধি:: সিলেটের বিশ্বনাথে জুলাই থেকে মিটারের রিডিং অনুযায়ী সঠিক বিল প্রস্তুত করে গ্রাহকদের হাতে বিদ্যুৎ বিলের কপি পৌছে দেওয়া হবে। অফিস থেকে প্রত্যেক গ্রাহদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে মিটার রিডিং লিখে নিয়ে বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করা হবে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের ভূতুড়ে বিল, ঘনঘন লোডশেডিংসহ নানা বিষয় নিয়ে জরুরী বৈঠকে এমনই আশ্বাস দেন সিলেট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জিএম প্রকৌশলী এসএম হাসনাত হাসান।
করোনার সময়ে বিদ্যুতের বাড়তি বিল এটা ভূল:বশত হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, কাউকে এক টাকাও অতিরিক্ত বিল দিতে হবে না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসে গেলেই বিল ঠিক করে দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো.কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বৈঠকের সমন্বয়কারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খান বলেন, করোনার সংকটকালীন সময়ে রিডিং সংগ্রহকারীরা বাড়িতে বাড়িতে যেতে না পারায় এরকম একটি উদ্ভট সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এই সমস্যা শুধু বিশ্বনাথেই হচ্ছে না, সারা দেশেই হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এই সমস্যার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি, যাদের রিডিং থেকে বিল বেশী এসেছে তারা বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে ঠিক করার জন্য আহবান জানান। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পল্লীবিদ্যুতের কাজ চলতেছে, সে কাজে বাধাঁ না দিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করারও আহবান জানান তিনি।
এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, পল্লীবিদ্যুৎ বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের ডিজিএম সামিউল কবীর, এজিএম নাজমুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমন, সাংবাদিক কাজী জামাল উদ্দিন, নবীন সোহেল, সচেতন বিশ্বনাথ সমাজ কল্যাণ সংস্থার আহবায়ক ফজল খান, সদস্য সচিব মো. আব্দুল বাতিন, সংস্কৃতিকর্মী ও শিল্পি জামাল উদ্দিন, সংগঠক বিভাংশু গুণ বিভূ, আমিনুল ইসলামসহ আন্দোলনকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, বিশ্বনাথে পল্লী বিদ্যুতের মনগড়া ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল ও ঘনঘন লোডশেডিং এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার আন্দোলনের ডাক দেয় সচেতন বিশ্বনাথ সমাজ কল্যাণ সংস্থা। পরবর্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খান ও সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে আন্দোলন স্থগিত করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়।