করোনাভাইরাসের কালে আরেক আপদ হতে পারে ডেঙ্গু। যা রোধ করতে থাকতে হবে সচেতন।
ডেঙ্গু জ্বর একটি সংক্রামক রোগ। এর কারণে সারা শরীর জুড়ে উচ্চব্যথা, মাথাব্যথা, ফুসকুড়ি এবং জ্বর হতে পারে। যদিও ডেঙ্গু জ্বর খুবই বেদনাদায়ক হতে পারে (অনেকটা হাড়ভাঙার মতো ব্যথা)। তবে এটি তেমন মারাত্মক নয়। বেশিরভাগ মানুষ কয়েকদিন পরে ভালোবোধ শুরু করে এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি সেরে ওঠে।
যেভাবে ডেঙ্গু জ্বর ছড়ায়
একটি মশা যখন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ায় তখন মশাটি ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হয় এবং পরে এটি রোগের কারণ হয়। এরপরে এটি অন্যদের কামড়ে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর ছোঁয়াচে নয়
তাই এটি সরাসরি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে যায় না। যেহেতু ডেংগু ভাইরাসের চারটি ধরন আছে। তাই কেউ একাধিক বার এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
ডেঙ্গুজ্বরকে ‘ব্রেক-বোন ফিভার’ নামে ডাকা হয়। কারণ এটি কখনও কখনও গুরুতর হাড় এবং পেশির ব্যথার কারণ হতে পারে। এই জ্বর আসলে কোনো হাড় ভাঙে না। তবে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়।
সাধারণত কেউ আক্রান্ত হওয়ার চতুর্থ থেকে ১৪তম দিন পরে লক্ষণ দেখা দেয়। ভাইরাসে সংক্রামিত কিছু লোকের আবার কোনো লক্ষণ দেখা দেয় না।
– সাধারণ ভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে। আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পর আবারও জ্বর আসতে পারে।
– চক্ষুকোঠর, বিভিন্ন হাড়ের জোড়, পেশি এবং হাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা।
– ফুসকুড়ি বা র্যাশ।
– নাক বা মাড়ি থেকে রক্ত ক্ষরণ
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গু হেমোরজিক ফিভার নামে একটি মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাদের ডেঙ্গুজ্বরের নিয়মিত লক্ষণগুলো দ্বিতীয় থেকে ৭ম দিনের মধ্যে থাকবে। জ্বর কমে যাওয়ার পরেও তাই এই লক্ষণগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
• বমিবমিভাব এবং বমি
• পেটে প্রচণ্ড ব্যথা
• শ্বাস নিতে সমস্যা
• প্রচুর রক্তক্ষরণ
যদি ডেঙ্গু হেমোরজিক জ্বরের সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা না করা হয় তবে একজন ব্যক্তির প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হতে পারে এবং মারা যেতেও পারে। ডেঙ্গু হেমোরজিক জ্বরযুক্ত ব্যক্তিদের অবিলম্বে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
ডাক্তারকে কখন ফোন করা উচিত
যদি ডেঙ্গুজ্বরের মতো কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। বিশেষ করে ডেঙ্গু প্রবণ অঞ্চলে যাওয়ার পরে যদি সংক্রমণের লক্ষণগুলো দেখা দেয়।
অনেক সময় জ্বর কমে যাওয়ার পরে দু’একদিন পরে লক্ষণগুলো আরও খারাপ হয়ে যায় বা নতুন লক্ষণ দেখা যায়। তখন অতি দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।